সাবরিনা আপুকে বলার মতো কোন শব্দ এখন আমার মনে পড়ছে না। হয়তো কখনো কখনো শব্দখরা দেখা দেয় অভিধানে। আমি নির্বাক বসে আছি পিসির সামনে। ধীরে ধীরে কেনো যেনো স্ক্রীনটা ঝাপসা হয়ে আসছে। চোখের কোণে জল এলে সব এমন অস্পষ্ট হয়ে আসে কেনো?
শুধু বলছি, আপু, আমি তোমার এক অক্ষম ভাই। আমি তোমার কাছে ভীষণভাবে লজ্জিত। আপু, তোমার মতো অসংখ্য সাবরিনাকে আমি স্রেফ এড়িয়ে চলে যাই প্রতিনিয়ত। বিবেকটা আর হয়তো বেঁচে নেই। আমি হয়তো ক্রমান্বয়ে একজন জড়মানুষে পরিণত হচ্ছি। আমি ভীষণভাবে লজ্জিত। আমায় ক্ষমা করো না আপি।
কিছুই বলার নেই! হয়তো আছে। কিন্তু, ভাষার সেই সাধ্য কোথায় যে, আমাকে আমার মতো করে প্রকাশ করে!!
স্রষ্টার কাছে করজোড় প্রার্থণা। তিনি যেনো তোমার মতো হাজারো সাবরিনাকে আপন করে নেন। ভালো থেকো আপি।
সাবরিনা আপু এগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি এগিয়ে যাবেন। দূর থেকে দূরান্তরে। সফলতার কাঙ্খিত দিগন্তে। আমরা কি পারি না, আমাদের দায়বদ্ধতাটুকু ক্ষানিকটা হলেও শোধ করবার চেষ্টা করতে? আবার, আরেকবার চেষ্টা করতে, একজন সত্যিকারের মানুষ হয়ে উঠবার? যে মানুষের হাসিটুকু সত্য। যার কান্নাটুকু অভিনয়ের পর্দাবৃত নয়। যে প্রতিদিন মানুষের জন্য বাঁচে।
একটি লেখার লিঙ্ক দিয়ে দিচ্ছি। তারপর যা করার করুন। আপনার বিবেকই আশা করি আপনাকে বলে দেবে কি করতে হবে। একটি টি-শার্ট, যা হতে পারে অনেকের মুখে হাসি ফোটাবে।
মানুষের ভেতরের ঘুমন্ত, মানবীয় মানুষটাকে জাগিয়ে তুলুন। এই দেশটার ভালো একদিন হবেই।