Hafizul Islam

একটি বিচ্ছিন্ন বিকালের অনর্থক বয়ান – জার্ণি টু জাবি সিরিজ – ১

প্রথম দৃশ্য পাবলিক পরিবহণের বিশেষ এক শ্রেণীতে করে জাহাঙ্গীরনগর থেকে  ঢাকায় ফিরছি। আমার সামনের দুই সারি আসনে খুব গল্প করছেন কয়েকজন বন্ধু। নিছক আড্ডা বলা যেতে পারে। আমার নিজেরও বাস জার্ণির এই দৈনিকের সময়ে গল্পচারিতা ভালো লাগে। আজকে চুপচাপ বই পড়তে পড়তে সময় কাটাচ্ছি। সামনের ওদের হাসি আর শব্দে বই পড়তে ভালো না লাগলেও বিরক্তি

নগরবাড়ি ঘাটের এক ‘ভয়ংকর পিচ্চি’র কথা লিখছি

আজকে সারাদিন বৃষ্টি হলো। শেষ বিকেলে থেমেছে বর্ষার অবিরাম ঝমঝম। জলমগ্ন চারপাশে বেড়েছে অথই মগ্নতা। যে বাড়িতে থাকছি, সেই বাড়িতে একটা পিচ্চি আছে। ভয়ংকর এক পিচ্চি। ভূত, পুলিশ, পাগল, হাপ্পা ইত্যাদি হাবিজাবি কোনকিছুতেই ভয় পায় না বিচ্ছুটা। জ্যান্ত ব্যাঙ ধরে এনে বড়দের ভয় দেখানোর চেষ্টা করে প্রায় দিনই। দারুন ছটফটে। আমার খুব পছন্দ ওকে। সারাদিন

সিজিপিএ স্লেভারি সিনড্রোম ও জাহাঙ্গীরনগরে আমার নিজস্ব গল্প

গ্রাম ছেড়ে যখন ঢাকায় আসি তখন চারপাশের ব্যস্ততা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। উন্নতমানের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাগ্রহণ করার সুযোগ করে দেয়ার জন্যই বাবা আমাকে নিয়ে আসলেন এই জঞ্জালের শহরে। সদরঘাটের ঘিঞ্জি এক গলিতে অখ্যাত এক প্রতিষ্ঠানে শুরু হলো আমার শিখন প্রক্রিয়া। হোস্টেলে থেকে পড়তে হতো। বাড়ির জন্য, মায়ের জন্য খুব কষ্ট হতো। আমার প্রিয় পুকুরপাড়, বর্ষায় নৌকায় করে

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকের সাথে বেনামী আলাপ

-হ্যালো.. -জ্বী বলুন.. -আমি নীরব বলছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলছেন? -জ্বি বলছি..।  -আমি কি একটু কথা বলতে পারবো? -জ্বি বলুন -আমি আপনাদের সাথে কাজ করতে চাইছি। আরিভার ফান্ডিং নিয়ে। আমি কি পারবো আপনাদের সাথে যুক্ত হতে? -জ্বি পারবেন। আজকে চলে আসুন শাহবাগে। পাবলিক লাইব্রেরীর সামনে। -আপনাকে চিনবো কীভাবে? আমি অবশ্য পাঞ্জাবী পড়া থাকবো। -আমাকে ফোন

আমাদের প্রিয় নাম্মি আপুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা

“জীবনকে আমি যতো দেখি, ততোই অবাক হই। যতোই ভাবি, জীবন থেকে চলে যাবো দূরে…বহুদূরে, জীবন আমাকে ততো বেশি আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ফেলে। কিছু মানুষ আমার জীবনের প্রতি এই মুগ্ধতা, এই মায়াচ্ছন্নবোধ আরো বাড়িয়ে দিয়ে আমাকে বলে যায়, বেঁচে থাকো..। বেঁচে থাকো চারপাশকে নিয়ে। পাবলিক লাইব্রেরীর সিঁড়িতে আমি মানুষটিকে প্রথম দেখি। গাঢ় করে চোখে কাজল দেয়া মেয়েটি

হামহাম ট্রেকিং (ভয়ংকর ভার্সন) প্রতিবেদন ২০১৬

এই রিপোর্ট যখন লিখছি, তার কিছুদিন আগে পাহাড় থেকে ফিরেছিলাম চমৎকার একটা ট্রিপ শেষ করে। সেবার প্রথম বান্দরবানে যাই। চমৎকার অভিজ্ঞতা আর অনুবাদঅক্ষম কিছু গল্প সাথে নিয়ে আসার সৌভাগ্য হয়েছিলো। সৌভাগ্য বলছি এ’জন্য যে, পাহাড়কে দেখার যে দৃষ্টিভঙ্গির সাথে পরিচিত হয়েছিলো আমার, হয়তো সেটা আশির্বাদের মতো। পাহাড়ে ভ্রমণ কিংবা অভিযান চলছে বহুদিন ধরে। আমাদের পরিচিত-অপরিচিত

কর্ণফুলিতে অপার্থিব সন্ধ্যা এবং একটি চলমান পেইন্টিংয়ের ড্রাফট

কখন কোথাও যাওয়া হবে আমার, এই ব্যাপারটাকে এখনো স্থির করে উঠতে পারি নি। পরিকল্পনা করে কিছু করতে গেলেই ফেঁসে যায় প্ল্যান। তাই, সে চেষ্টা বাদ দিয়ে এখন হুট করে চলে যাওয়ার চেষ্টা করি। তেমন করেই এবার কাপ্তাইয়ে যাওয়া। এবারের উদ্দেশ্য কর্ণফুলীতে কায়াকিং করা এবং সম্ভব হলে কাপ্তাইয়ে টুকটাক ঘুরাঘুরি। আমি, অন্তরা, মনির, মহিমা এবং মেহেদী

যাদুর শহরে ঝাপসা কম্পোজিশনের একটি বিকেল

ফাল্গুণের ১ম দিন বইমেলায় যাবো বলে বের হয়েছি। টিএসসির কাছাকাছি কোথাও অন্তরার সাথে দেখা হবে। তারপর একসাথে বইমেলায়। নীলক্ষেতের মোড় থেকে উপযুক্ত ভাড়ায় রিকশা না পেয়ে হাঁটছি। চারপাশ জুড়ে রঙ বেরংয়ের পোশাক পড়া মানুষজনের ভিড়। ফাগুণের রঙ হিসেবে ক্যাটক্যাটে হলুদ আমার মোটেও ভালো লাগে না। শৈশবের বিরক্তিকর একঘেয়ে জন্ডিসের কথা মনে পড়ে যায়। দেখছি আর