Hafizul Islam

কেওক্রাডং অভিযানের প্রতিবেদন ২০১৬

এই রিপোর্টটি কেওক্রাডং সামিটের উপর লেখা এক্সপেডিশন রিপোর্ট। ট্রাভেলার্স অব বাংলাদেশের একটি ইভেন্টে আমরা ক’জন গিয়েছিলাম কেওক্রাডং। ট্রিপ শেষে সবার জন্য রিপোর্ট লেখার দায়িত্ব দেয়া ছিলো। তারই অংশ হিসেবে ,অবশেষে হাবিজাবি করে একটা রিপোর্ট দাঁড় করালাম। প্রথম কোন অফিসিয়াল ট্রেকিং রিপোর্ট লেখার দুঃসাহসিক প্রচেষ্টা বলা যেতে পারে। চারপাশ আমাকে একপ্রকার মোহাবিষ্ট করে রেখেছিলো। সেজন্যই হয়তো বেখেয়ালে

রোজ তার সাথে আমার মোলাকাত হয়

রোজ তার সাথে আমার মোলাকাত হয় ভেতর বাহির সদর অন্দরে কখনো বিশ্বাস আবার কখনো সংশয় আমাদের মাঝে নিত্য বিনিময় হয়..। আয়নায় আমার পাশে দাঁড়ায় সে ঘুমোতে গেলে বালিশে মাথা রাখে একসাথে প্রতি পদবিক্ষেপে অহেতুক বিদ্রোহ তার সাথে আমার এভাবেই মোলাকাত হয়..। রুপোর থালার মতো চকচকে ভোর কিংবা নাক্ষত্রিক নিজঝুম রাতে আমাদের অবসর মেলে.. তখন অন্ধকারে

প্রাথমিক ম্যাপ রিডিং

ম্যাপ রিডিং নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে খুব সাধারণ মানের এবং অতি-প্রাথমিক একটি ইন্টারএ্যাকটিভ ফাইল পেলাম। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিসের ওয়েবরেঞ্জার নামক একটি প্রজেক্টের এডুকেশনাল ম্যাটার হিসেবে তৈরী করা হয়েছে। নিজের ইনডেক্সিং সুবিধার জন্য এখানে জমা করে রাখলাম।

সুখী কিংবা অসুখী বৃত্তের বাইরে উঁকি দিয়ে আকাশ দেখার একটি দুপুর

আমি ভবঘুরেই হব- এটাই আমার অ্যাম্বিশন আমি কোনে বাউল হব- এটাই আমার অ্যাম্বিশন তবু আমি বোকাই হব- এটাই আমার অ্যাম্বিশন। আমি তুমি সে কিংবা তারা, আমরা কেউই ভালো নেই! আসলেই কি! ভালোথাকা না থাকার মানদন্ড কিংবা বিচারিক গেজেট আমরা কোথায় পেলাম? একজন রাস্তার পাশের চটের দেয়ালে ঢাকা সস্তার হোটেলে স্টীলের থালায় ভরপেট খেয়ে তৃপ্তির ঘুম

দূর পাহাড়ের পথে চলেছেন নিঃসঙ্গ অভিযাত্রী!

“লাল পাহাড়ের দেশে যা রাঙ্গামটির দেশে যা ইত্থাক তুকে মানাইছে না রে ইক্কেবারে মানাইছে না রে..” কেনো ট্রেকিংয়ে আগ্রহী, সেটা এককথায় কিংবা একটি ইমেইলের কয়েকটি লাইনে বুঝিয়ে বলা সম্ভব নয় আমার পক্ষে। শৈশবে চিটাগাং ফায়ার সার্ভিসের কোয়ার্টারে থাকতাম তখন। কোয়ার্টার বিল্ডিংয়ের পাশে সুউচ্চ একটি টিলা ছিলো। প্রতিদিন বিকেলে আমরা ক’জন তখন সামিট করতাম! সামিট শব্দটাও

ফেরিওয়ালা আজকাল সময় বিক্রি করে!

দিন হাঁটছে পায়ে পায়ে গন্তব্যের নাম নিতাইগঞ্জ রাতের ট্রেনে ফিরছি আমি.. নিজের জন্য একটু সময় এবার কিনেই নেবো বলে। ফিরছি মহাকালের কাছে যেখানে ক্ষণিক বলতে কিছু নেই সেকেন্ড মিনিট ঘন্টার নিক্তিতে সস্তায় ইদানিং সময় কেনা যায় বহুপ্রাচীণ সদরঘাটে? যেখানে কালিদাস আর অঞ্জন দত্ত কীর্তণখোলার পাড়ে বসে কাঞ্চনজঙ্ঘার গল্প করেন। মুকুন্দ দাস আর ক্ষুদিরাম লিখেন মহাকাব্য

প্লেটভর্তি ভাত আর হাঁসের মাংসে – গ্রামের বাজারে আমাদের একরাত

আমরা সেদিন ছিলাম জীবনানন্দের বরিশালে। ঢাকা থেকে ভোরে এসে নেমেছি লঞ্চে করে। ট্রাভেলার্স অব বাংলাদেশ আয়োজিত রামনাথ বিশ্বাস রাইড – ১ এর সাইকেল ট্যুরে। ৯ জনের একদল ব্যাকপ্যাকার। ফয়সাল ভাই, রাইন ভাই, শরীফ ভাই, মুনিম ভাই, মোহাম্মদ ভাই, মিথুন ভাই, বাহার ভাই, নাইম এবং আমি। সাইকেল আর ব্যাকপ্যাকে ক্যাম্পিংয়ের সব সরঞ্জাম, মাথায় হেলমেট। আমাদের  দেখতে এলিয়েনের মতো

নাস্তার টেবিলের খোঁড়া কাকের জন্য লিখছি

আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস স্টাফ কোয়ার্টারের জীর্ণ একটি বিল্ডিংয়ে তখন আমাদের বসবাস। মা বাবা আর আমি। বাবা সারাদিন অফিসে থাকেন। কখনো রাতেও বেরিয়ে যান ‘ফায়ার কলে’। আমার রোজকার নাস্তার টেবিলের সঙ্গী ছিলো তখন একদল কাক। নাস্তার সময় কী করে করে টের পেয়ে যেতো ওরা , সেটা আজও আমার কাছে বিস্ময়ের । আমার খারাপ লাগতো না ওদের