Hafizul Islam

একটি দলছুট শালিকের বিষণ্ন দিনরাত্রি

একটি দলছুট শালিকের বিষণ্ন দিনরাত্রি

তখন আমরা গ্রামের বাড়িতে থাকি। বৃষ্টি হচ্ছে কয়েকদিন ধরে একটানা। চারপাশে কাদামাটি মাখামাখি। আমাদের টিনের ঘরের মাটির মেঝে স্যাতস্যাতে হয়ে আছে। দুপুরের ভাত খেতে খেতে আমি দেখছিলাম উঠোনে বসে থাকা মনোযোগী একদল শালিকের দিকে। ছোট্ট ছোট্ট উড়ান দিয়ে তারা মাটি থেকে খুঁটে খাচ্ছিলো কিছু। সম্ভবত পোকা-মাকড়ই হবে। আমি মায়ের কাছে জানতে চাইলাম, এই শালিকগুলোকে কী

’স্মার্ট’ এই নগরীতে একজন ’আনস্মার্ট’ আমি ও আমার ‘খ্যাতমার্কা’ আউটফিটের ফুটনোট

’স্মার্ট’ এই নগরীতে একজন ’আনস্মার্ট’ আমি ও আমার ‘খ্যাতমার্কা’ আউটফিটের ফুটনোট

# অগোছালো কোকড়া চুলের ‘খ্যাতমার্কা’ এই ছেলেটা এইখানে কেমনে আসলো! # দেখ, কেমন পাগলের মতো দেখাচ্ছে ওরে! # এই ছেলে! ভাইবা বোর্ডে কেউ  এই গেটআপে আসে! স্মার্টনেসও তো একটা শেখার বিষয়! অন্যদের এই ধরণের কথা ও ভাবনার সাথে আমার পরিচয় অনেক দিনের। নিজের পোশাক-আশাক, সাজগোজ, ধরণ-ধারণ যথেষ্ট রকমের ‘আউলা’ টাইপের। সময়ের সাথে ঠিক যায় না

মালিকানার ভিত্তিতে বাংলাদেশের সম্প্রচার গণমাধ্যম ব্যবস্থা

মালিকানার ভিত্তিতে বাংলাদেশের সম্প্রচার গণমাধ্যম ব্যবস্থা

‘মিডিয়াম ইজ দ্যা মেসেজ’। মার্শাল ম্যাকলুহানের বিখ্যাত উক্তি। মাধ্যমই বার্তা। মাধ্যমই বলে দিবে, বার্তা কেমন হবে। বর্তমান সময়ে প্রযুক্তিগত উন্নতি এবং সময়ের পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তিত হচ্ছে গণমাধ্যমের ফরম্যাট, মিডিয়াম। বিংশ শতাব্দীতে সেভেন মাস মিডিয়া নামে গণমাধ্যম পরিচিত ছিল। মুদ্রিত মাধ্যম, ধারণ যন্ত্র বা রেকর্ডিং , সিনেমা, রেডিও, টেলিভিশন, ইন্টারনেট, মোবাইল-গণমাধ্যম হিসেবে স্বীকৃতি লাভ

নারীর সামাজিক প্রতিবন্ধকতা উত্তরণে সামাজিক শিক্ষণ তত্ত্বের আলোকে দাঙ্গাল চলচ্চিত্রের পর্যালোচনা

“কাল যদি তুমি গোল্ড মেডেল জিতো, তাহলে সেইসকল মেয়েরা তোমার সাথে জিতে যাবে, যাদেরকে ছেলেদের চেয়ে কম যোগ্যতাসম্পন্ন বলে আমাদের সমাজ তাদের জন্য জায়গা নির্ধারণ করে রেখেছে। সমাজের মানুষ মনে করে, শুধুমাত্র গৃহস্থালি, পরিবার, ঘরকান্না, বাচ্চা সামলানোর জন্য মেয়েদের জন্ম। কালকের মোকাবেলা সেইসব মানুষদের বিরুদ্ধে, যারা মেয়েদের ব্যাপারে এমন ছোট ধারণা রাখে।” নিতেশ তেওয়ারী পরিচালিত

হলদে ডানার পাখিটি ডানা ঝাপটাক তবুও

মানুষ হয়ে জন্মালেও আমাদের অনেকরই ভেতরটা মানুষের মতো হয় না। হয় পাখির মতো। পাখির মতোন মন নিয়ে আমরা বেড়ে উঠি এই মানুষের সমাজে। মনের গহীনে সযতনে লুকিয়ে রাখি ইকারাসের মতো সুবিশাল ডানাগুলো। ইকারাসের ডানা আসলেই ছিলো কিনা, কিংবা সেই ডানায় চড়ে সত্যিই তিনি উড়ে বেড়াতেন কিনা, জানার উপায় নেই এখন আর। কিন্তু, ইকারাসের ডানা অসংখ্য

হারানোর তালিকায় বাড়ছে যখন প্রিয়জনদের ভিড়

“কেন বাড়লে বয়স ছোট্টবেলার বন্ধু হারিয়ে যায় কেন হারাচ্ছে সব বাড়াচ্ছে ভিড় হারানোর তালিকায়..” -সায়ান নায়করাজ রাজ্জাকের প্রথম কোন মুভিটা আমি দেখেছি, মনে নেই। আমার ছোটবেলায় আমরা মুভিকে ছবি বলতাম। প্রতি শুক্রবারে সবাই মিলে নানুবাড়ির উঠানে বসে অপেক্ষা করতাম। বিটিভির সম্প্রচার শুরু হতো তিনটায়। কোরআন, ত্রিপিটক পাঠ শেষ হতে না হতেই আমাদের রুদ্ধশ্বাস অস্থিরতা পেয়ে

আরাধ্য জীবন যেখানে বিকল হয়ে পড়ে থাকে

ভোকাট্টা ঘুড়ি কিংবা জলফড়িংয়ের জীবন আমাকে খুব টানে। একবার এক নিরুদ্দেশ যাত্রায় ভীষণ অঁজপাড়া গাঁয়ের এক রেলষ্টেশনে গিয়ে হাজির হয়েছিলাম। ছোট্ট আর নীরব চারদিক। অসংখ্য সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের স্বাক্ষী হয়ে, সারাগায়ে বয়সের ছাপ মেখে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে ছিলো স্টেশনটি। অনেকক্ষন অপেক্ষার পর দেখা মেললো স্টেশন মাষ্টারের। কবে থেকে এই স্টেশনে আছেন, মনে করতে পারলেন না। স্টেশনের

শৈশবের পিঠাবন্ধু উপকারী এক চিলের কাহিনী

আকাশের সুদূর উচ্চতায় ডানা মেলে উড়ে বেড়ায় একটি সোনালী ডানার চিল। চিটাগাং আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের এক ছোট্ট শিশু, রনির সাথে একদিন তার বন্ধুত্বটা হয়েই গেলো! দিনে দিনে সেই সম্পর্ক গিয়ে দাঁড়ালো লেনদেনের ঘনিষ্টতায়। রনি চিলটিকে কী দিতো, সেটা জানা যায় নি। কিন্তু, চিলটি রনিকে দৈনিক ৪ টি করে ময়দায় বানানো পিঠা দিয়ে যেতো! কী অবাক