Hafizul Islam

বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে জনসংযোগ ও বিজ্ঞাপন

জনসংযোগ ও বিজ্ঞাপনের বাংলাদেশ প্রেক্ষিত নিয়ে সংক্ষেপে আলোকপাত করার অভিপ্রায় থেকে এই রচনাটি।  বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন বলতে আমরা প্রধানত ঢাকার বিজ্ঞাপনকেই বুঝি। প্রথম থেকেই ঢাকাকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে ও হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাবসার একটি বৃহৎ অংশ। ৬০ এর দশকে ঢাকাকেন্দ্রিক বিজ্ঞাপন সময়ের শুরু হয়। আমরা কিছু বিখ্যাত বিজ্ঞাপন নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঢাকাই বিজ্ঞাপনের কথা

গেরুয়া; এই গ্রাম ছেড়ে তোমরা কোথায় যেতে চাও?

“সুবর্ণ গ্রাম, গিয়েছ কি? তবে একবার ঘুরে দেখে এসো..” – আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ সুবর্ণগ্রামে কাজল রেখার বাড়ি। আমার শৈশবও কেটেছে এখানেই। সত্যিকার অর্থে সুবর্ণগ্রাম নামের কোন গ্রাম নিয়ে আমি লিখছি না। বাংলাদেশের অসংখ্য গ্রামের একই রূপ রঙ ঘ্রাণ। বাতাসে ভেসে বেড়ানো খাঁটি ও সত্যিকারের জীবনের তীব্রতা সবখানেই সমানভাবে বয়ে যায়। জীবনানন্দের ধাঁনসিঁড়ির পাড়ের জনপদ, আবু

বিজ্ঞাপনে সেমিওটিকস; ১ টি বিজ্ঞাপন বিশ্লেষণ

বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে সেমিওটিকস বিষয়টির শুরুতে কিছু বিষয় লক্ষ্য করলে আলোচনাটি সার্থক রূপ লাভ করবে। তাই পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করছি। প্রসঙ্গত একটি প্রাচীন লাতিন প্রবাদ উল্লেখ করে নিচ্ছি। ‘Rem tene, verba sequenteur’ অর্থাৎ বিষয়ের সঙ্গে থাকো, ভাষা আপনাতেই আসবে। বিশ্লেষণের জন্য আমি বেছে নিয়েছি গ্রামীণফোনের থ্রি জি ইন্টারনেট সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপন কী কাজ করে কিংবা

স্পোর্টস, মিডিয়া, বিজনেস ও বাংলাদেশ

স্পোর্টস, মিডিয়া, বিজনেস ও কলোনিয়াল হ্যাংওভারের ভাবনা

খেলাধুলার প্রধান উদ্দেশ্য আনন্দ দেওয়া। প্রাথমিক পর্যায়ে খেলা বলতে শুধু নির্মল বিনোদনকে বুঝাতো। কিন্তু, সময়ের সাথে সাথে পাল্টে গেছে খেলাধুলা বিষয়ক প্রাসঙ্গিকতার আকার আকৃতি ও ধরণ। পেশাদারিত্বের ম্যাজিকে এই বিনোদন মাধ্যমটি হয়ে উঠেছে একইসাথে ব্যবসার অন্যতম বৃহৎ অনুষঙ্গ। মিডিয়া ও সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিগত সংযোজন এনেছে বহুমাত্রিক ভিন্নতা। ফুটবলে বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, আর্সেনাল, বায়ার্ন মিউনিখ, রিয়েল মাদ্রিদের

মালিকানার ভিত্তিতে বাংলাদেশের সম্প্রচার গণমাধ্যম ব্যবস্থা

মালিকানার ভিত্তিতে বাংলাদেশের সম্প্রচার গণমাধ্যম ব্যবস্থা

‘মিডিয়াম ইজ দ্যা মেসেজ’। মার্শাল ম্যাকলুহানের বিখ্যাত উক্তি। মাধ্যমই বার্তা। মাধ্যমই বলে দিবে, বার্তা কেমন হবে। বর্তমান সময়ে প্রযুক্তিগত উন্নতি এবং সময়ের পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তিত হচ্ছে গণমাধ্যমের ফরম্যাট, মিডিয়াম। বিংশ শতাব্দীতে সেভেন মাস মিডিয়া নামে গণমাধ্যম পরিচিত ছিল। মুদ্রিত মাধ্যম, ধারণ যন্ত্র বা রেকর্ডিং , সিনেমা, রেডিও, টেলিভিশন, ইন্টারনেট, মোবাইল-গণমাধ্যম হিসেবে স্বীকৃতি লাভ

নারীর সামাজিক প্রতিবন্ধকতা উত্তরণে সামাজিক শিক্ষণ তত্ত্বের আলোকে দাঙ্গাল চলচ্চিত্রের পর্যালোচনা

“কাল যদি তুমি গোল্ড মেডেল জিতো, তাহলে সেইসকল মেয়েরা তোমার সাথে জিতে যাবে, যাদেরকে ছেলেদের চেয়ে কম যোগ্যতাসম্পন্ন বলে আমাদের সমাজ তাদের জন্য জায়গা নির্ধারণ করে রেখেছে। সমাজের মানুষ মনে করে, শুধুমাত্র গৃহস্থালি, পরিবার, ঘরকান্না, বাচ্চা সামলানোর জন্য মেয়েদের জন্ম। কালকের মোকাবেলা সেইসব মানুষদের বিরুদ্ধে, যারা মেয়েদের ব্যাপারে এমন ছোট ধারণা রাখে।” নিতেশ তেওয়ারী পরিচালিত

অসমাপ্ত আত্মজীবনী; একজন শেরপার সংক্ষিপ্ত উপাখ্যান (বুক রিভিউ)

“বন্ধুবান্ধবরা বলে তোমার জীবনী লেখো। সহকর্মীরা বলে রাজনৈতিক জীবনের কাহিনীগুলো লিখে রাখো, কাজে লাগবে।” এভাবেই শুরু হয়েছে এই অসমাপ্ত আত্মজীবনী। মধুমতি তীরের জনপদ থেকে উঠে আসা একজন মানুষের গল্প, একজন রাষ্ট্রনায়কের আত্মজীবনী তার বংশীয় পরিচয় এবং নাটকীয় কথনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় পাঠকের যাত্রা।  প্রথমেই যে প্রশ্নটি চলে এসেছিলো, বইটি কি আদৌ শেখ মুজিবুর রাহমানের

আলবেয়ার কামু’র দ্য আউটসাইডার অথবা দ্য স্ট্রেঞ্জার এর রিভিউ

= প্রকৃত নাম: লেত্রঁজে = মূল ভাষা: ফরাসি = লেখার সময় ও স্থান: ৪০এর দশক, ফ্রান্স = প্রকাশের সময় ও প্রকাশক: ১৯৪২, লাইব্রেরি গালিমার্দ = সাহিত্যের প্রকার: উপন্যাস = লেখার ধরণ: অস্তিত্ববাদী, অপরাধ বিষয়ক লেখা = লেখার পটভূমি: আলজেরিয়া, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কিছু পূর্বে লেত্রঁজে (L’Étranger) বা ল্যা-এস্রানজার, নোবেল বিজয়ী ফরাসি সাহিত্যিক আলবেয়ার কামু’র সবচেয়ে বিখ্যাত