Hafizul Islam

ঘুমন্ত মানুষের মুখ কখনো গল্প বলতে জানে?

মানুষের চোখ নাকি তার মনের কথা বলে! ছোটবেলা থেকেই আমরা এই লাইনটা শুনেছি নানা সময় আর পরিস্থিতিতে। কখনো শুনেছি ৯০ এর দশকের বিখ্যাত গানের লাইনে। চোখ যে মনের কথা বলে।  চোখ মনের কথা বললেও ঘুমন্ত মানুষের মুখও যে মানুষের মনের কথা বলতে পারে, এই কথাটি হয়তো আমিই প্রথম বলছি! ঘুমন্ত মানুষের মুখও কথা বলে নাকি!

হলদে ডানার পাখিটি ডানা ঝাপটাক তবুও

মানুষ হয়ে জন্মালেও আমাদের অনেকরই ভেতরটা মানুষের মতো হয় না। হয় পাখির মতো। পাখির মতোন মন নিয়ে আমরা বেড়ে উঠি এই মানুষের সমাজে। মনের গহীনে সযতনে লুকিয়ে রাখি ইকারাসের মতো সুবিশাল ডানাগুলো। ইকারাসের ডানা আসলেই ছিলো কিনা, কিংবা সেই ডানায় চড়ে সত্যিই তিনি উড়ে বেড়াতেন কিনা, জানার উপায় নেই এখন আর। কিন্তু, ইকারাসের ডানা অসংখ্য

হারানোর তালিকায় বাড়ছে যখন প্রিয়জনদের ভিড়

“কেন বাড়লে বয়স ছোট্টবেলার বন্ধু হারিয়ে যায় কেন হারাচ্ছে সব বাড়াচ্ছে ভিড় হারানোর তালিকায়..” -সায়ান নায়করাজ রাজ্জাকের প্রথম কোন মুভিটা আমি দেখেছি, মনে নেই। আমার ছোটবেলায় আমরা মুভিকে ছবি বলতাম। প্রতি শুক্রবারে সবাই মিলে নানুবাড়ির উঠানে বসে অপেক্ষা করতাম। বিটিভির সম্প্রচার শুরু হতো তিনটায়। কোরআন, ত্রিপিটক পাঠ শেষ হতে না হতেই আমাদের রুদ্ধশ্বাস অস্থিরতা পেয়ে

আরাধ্য জীবন যেখানে বিকল হয়ে পড়ে থাকে

ভোকাট্টা ঘুড়ি কিংবা জলফড়িংয়ের জীবন আমাকে খুব টানে। একবার এক নিরুদ্দেশ যাত্রায় ভীষণ অঁজপাড়া গাঁয়ের এক রেলষ্টেশনে গিয়ে হাজির হয়েছিলাম। ছোট্ট আর নীরব চারদিক। অসংখ্য সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের স্বাক্ষী হয়ে, সারাগায়ে বয়সের ছাপ মেখে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে ছিলো স্টেশনটি। অনেকক্ষন অপেক্ষার পর দেখা মেললো স্টেশন মাষ্টারের। কবে থেকে এই স্টেশনে আছেন, মনে করতে পারলেন না। স্টেশনের

নগরবাড়ি ঘাটের এক ‘ভয়ংকর পিচ্চি’র কথা লিখছি

আজকে সারাদিন বৃষ্টি হলো। শেষ বিকেলে থেমেছে বর্ষার অবিরাম ঝমঝম। জলমগ্ন চারপাশে বেড়েছে অথই মগ্নতা। যে বাড়িতে থাকছি, সেই বাড়িতে একটা পিচ্চি আছে। ভয়ংকর এক পিচ্চি। ভূত, পুলিশ, পাগল, হাপ্পা ইত্যাদি হাবিজাবি কোনকিছুতেই ভয় পায় না বিচ্ছুটা। জ্যান্ত ব্যাঙ ধরে এনে বড়দের ভয় দেখানোর চেষ্টা করে প্রায় দিনই। দারুন ছটফটে। আমার খুব পছন্দ ওকে। সারাদিন

সিজিপিএ স্লেভারি সিনড্রোম ও জাহাঙ্গীরনগরে আমার নিজস্ব গল্প

গ্রাম ছেড়ে যখন ঢাকায় আসি তখন চারপাশের ব্যস্ততা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। উন্নতমানের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাগ্রহণ করার সুযোগ করে দেয়ার জন্যই বাবা আমাকে নিয়ে আসলেন এই জঞ্জালের শহরে। সদরঘাটের ঘিঞ্জি এক গলিতে অখ্যাত এক প্রতিষ্ঠানে শুরু হলো আমার শিখন প্রক্রিয়া। হোস্টেলে থেকে পড়তে হতো। বাড়ির জন্য, মায়ের জন্য খুব কষ্ট হতো। আমার প্রিয় পুকুরপাড়, বর্ষায় নৌকায় করে

সুখী কিংবা অসুখী বৃত্তের বাইরে উঁকি দিয়ে আকাশ দেখার একটি দুপুর

আমি ভবঘুরেই হব- এটাই আমার অ্যাম্বিশন আমি কোনে বাউল হব- এটাই আমার অ্যাম্বিশন তবু আমি বোকাই হব- এটাই আমার অ্যাম্বিশন। আমি তুমি সে কিংবা তারা, আমরা কেউই ভালো নেই! আসলেই কি! ভালোথাকা না থাকার মানদন্ড কিংবা বিচারিক গেজেট আমরা কোথায় পেলাম? একজন রাস্তার পাশের চটের দেয়ালে ঢাকা সস্তার হোটেলে স্টীলের থালায় ভরপেট খেয়ে তৃপ্তির ঘুম

জনাকীর্ণ লোকাল বাস, ফুটপাতের সস্তা তরমুজ এবং একজন নিম্নবিত্তের একটি সকালের গল্প

কবি হাসে টাকা ভাসে গঙ্গা বুড়ির শহরে আসমান তুই কাঁদিস কেন অট্রালিকার পাহাড়ে মিছে হাসি মিছে কান্না পথে পথের আড়ালে গ্রীন সিগনাল রেড ওয়াইন দেয়ালে দেয়ালে এই শহর যাদুর শহর প্রানের শহর ঢাকারে —চিরকুট প্রাণের এই শহরটা বড়ো বেশি দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। যাদুর এই শহরে এখন আর কেউ যাদু দেখায় না। সবাই ব্যস্ত..। সাই সাই