Hafizul Islam

Aztec Sun

কিংবদন্তিতে মহাপরাক্রমশালী সূর্য ; সৌর দেবতা থেকে উড়ন্ত রথের গল্প

শত সহস্র বছর আগে থেকেই মানুষ সূর্যকে জীবনের উৎস হিসেবে মেনে নিয়েছিলো। বিজ্ঞান যতোদিনে আবিষ্কার করে যে, সূর্যের চারপাশে সবকিছু প্রদক্ষিণ করে, তারও বহুকাল পূর্বেই আদিম মানুষেরা সূর্যকে শক্তির আধার হিসেবে গ্রহণ করেছিলো। প্রাচীন ইতিহাসে সূর্য যেমন শক্তি ও প্রাণের কেন্দ্রবিন্দু ছিলো, তেমনই সূর্যকে মনে করা হতো স্রষ্টা কিংবা দেবতা। কোন কোন প্রাচীন সভ্যতায় সূর্য

The Black Widow

কলম্বিয়ান কোকেইন রানী গ্রিসেলডা ব্লাংকো

১৯৪৩ সালের ফেব্রুয়ারি। কলম্বিয়ার কার্টেজেনার এক ছোট্ট ঝুপড়ি ঘরে জন্ম নেয় একজন অতি সাধারণ শিশু। কারগোডেড টিন আর কার্টনের বাক্স দিয়ে ঘেরা সেই ঘরে দারিদ্যের আশীর্বাদ ছিলো সীমাহীন। বাবা মা তার নাম রাখেন গ্রেসিল্ডা ব্লাংকো রেসত্রেপো। ব্লাংকোর মা ছিলো একজন রাগচটা ও ভয়ংকর মেজাজের মহিলা। সমাজের নিম্ন আয়ের দুঃসহ পরিবারে জন্ম নেয়ার অভিশাপ হিসেবে খুব

The Poster Child

পোস্টার বালিকা কেমবা স্মিথ; ভালোবাসার জন্য ত্যাগ নাকি অর্থের জন্য লোভ

কোন কাহিনীগুলো আপনাকে আকর্ষণ করে বলুন তো? জেমস বন্ডের সিরিজ কিংবা টম ক্রুজের মিশন ইমপসিবল দেখে উত্তেজনা আর উৎকন্ঠা অনুভব করেন নি, একথা কি বলতে পারবেন? যদি বলেন, না, আপনি কোন আকর্ষণ খুঁজে পান নি। তাহলে নিশ্চয়ই ভায়োলেন্ট কিংবা সহিংস কোন মুভি আপনার ভালো লাগার তালিকায় থাকতে বাধ্য। আপনাকে  মেনে নিতেই হবে,  ক্রিমিনাল স্টোরিগুলো অনেক

help

যান্ত্রিক সময়ের ৫ টি মানবিক গল্প ও আমাদের রোবট না হওয়ার প্রমাণ

চারপাশের অসংখ্য দুঃসংবাদ আপনাকে হতাশ করে দিচ্ছে? প্রতিদিনই হয়তো ভাবেন, একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু, আসলে কি তেমন হচ্ছে? এই কঠিন সময়েও এমন অনেককিছুই ঘটে, যে কাহিনীগুলো আমাদের আশা বাঁচিয়ে রাখে। আজকে এমন কিছু গল্প নিয়েই লিখছি। ফরিদপুরের সেই সামাদ চাচার কথাতো আপনি জানেনই, যিনি ৪৮ বছর ধরে প্রতিদিন একটি করে গাছ লাগিয়ে চলেছেন।

নরকের প্রবেশদ্বার হৌসকা প্রাসাদের রোমহর্ষক কিংবদন্তি

মনে করুন, আপনি চেক রিপাবলিকে বেড়াতে গিয়ে উঠলেন এক দারুন প্রাসাদে। শহর থেকে একটু দূরের পাহাড়ে জমকালো প্রাচীন প্রাসাদ। বিকেলের সোনালী আলোয় চমৎকার চারপাশ দেখতে বেশ লাগছিলো। রাতে কেয়ারটেকার ডিনারের আয়োজন শেষে চলে গেলো আপনাকে রেখে। গা ছমছম বিশাল প্রাসাদের কিংসাইজ বেডে শুয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করছেন আপনি। দারুন রোমাঞ্চকর পরিবেশ। এমন সময় শুনলেন, হলঘরে কেউ

ড্রোন; একটি যান্ত্রিক ফড়িংয়ের ইতিবৃত্ত

অসীমের করিডোরে পা রাখার দুঃসাহসী ইচ্ছে মানুষের সবসময়ই হয়েছে। ঈকারাসের ডানায় চেপে মানুষর স্বপ্ন পাড়ি দিতে চেয়েছে মহাকাশের সীমানাহীন বিস্তার।ক্রমশ বেড়েছে পৃথিবী নামক সবুজ গ্রহটির বয়স। বেড়েছে সভ্যতার গতিবেগ। প্রযুক্তির পালে হাওয়া লাগিয়ে দ্রুত ধাবমান বর্তমান শতাব্দিতে বিজ্ঞান জন্ম দিচ্ছে অসংখ্য সব বিস্ময়ের। আজকে বলবো তেমনই এক অবাক করা গল্প।শোনাবো ড্রোন নামক এক যান্ত্রিক ফড়িংয়ের ইতিকথা।

শুরুর কথা

১৯৫৯ সাল। আমেরিকান বিমান বাহিনীর গোপন (Classified)এক গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব করে, অদ্ভূত এক বিমান আবিষ্কারের। যার মূল থিম হচ্ছে, পাইলট থাকবে না এই বিমানে। শুরু হলো প্রথম মনুষ্যবিহীন বিমান তৈরীর কাজ। জন্ম নিলো Unmanned Arial vehicle (UAV) আনম্যানড এ্যারিয়াল ভেহিকল বা ড্রোন। ড্রোন শব্দের আভিধানিক অর্থ হল গুঞ্জন। মৌমাছির গুঞ্জনধ্বণি তুলে পথ পাড়ি দেয় বলেই এই নামে ডাকা হয় মানুষ্যবিহীন ড্রোনকে।