অসীমের করিডোরে পা রাখার দুঃসাহসী ইচ্ছে মানুষের সবসময়ই হয়েছে। ঈকারাসের ডানায় চেপে মানুষর স্বপ্ন পাড়ি দিতে চেয়েছে মহাকাশের সীমানাহীন বিস্তার।ক্রমশ বেড়েছে পৃথিবী নামক সবুজ গ্রহটির বয়স। বেড়েছে সভ্যতার গতিবেগ। প্রযুক্তির পালে হাওয়া লাগিয়ে দ্রুত ধাবমান বর্তমান শতাব্দিতে বিজ্ঞান জন্ম দিচ্ছে অসংখ্য সব বিস্ময়ের। আজকে বলবো তেমনই এক অবাক করা গল্প।শোনাবো ড্রোন নামক এক যান্ত্রিক ফড়িংয়ের ইতিকথা।
শুরুর কথা
১৯৫৯ সাল। আমেরিকান বিমান বাহিনীর গোপন (Classified)এক গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব করে, অদ্ভূত এক বিমান আবিষ্কারের। যার মূল থিম হচ্ছে, পাইলট থাকবে না এই বিমানে। শুরু হলো প্রথম মনুষ্যবিহীন বিমান তৈরীর কাজ। জন্ম নিলো Unmanned Arial vehicle (UAV) আনম্যানড এ্যারিয়াল ভেহিকল বা ড্রোন। ড্রোন শব্দের আভিধানিক অর্থ হল গুঞ্জন। মৌমাছির গুঞ্জনধ্বণি তুলে পথ পাড়ি দেয় বলেই এই নামে ডাকা হয় মানুষ্যবিহীন ড্রোনকে।