Hafizul Islam

ক্রিপ্টোগ্রাফি; তথ্য সুরক্ষার কালোত্তোর্ণ মাধ্যম

ক্রিপ্টোগ্রাফি (বা Cryptology; গ্রিক κρυπτός Kryptos, “লুকানো, গোপন” থেকে; যথাক্রমে এবং γράφειν graphein, “লেখা”, বা -λογία -logia, “গবেষণা”,)  সুরক্ষিত যোগাযোগের কৌশল যা তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে তথ্য সুরক্ষিত রাখার নিমিত্তে ব্যবহার করা হয়। ক্রিপ্টোগ্রাফিতে এই তৃতীয়পক্ষ বিবেচিত হয় প্রতিপক্ষ হিসেবে। সাধারণত,  এটা প্রতিপক্ষকে ব্লক করার একধরণের প্রোটোকল নির্মান এবং বিশ্লেষণে সাহায্য করে। এর বিভিন্ন দিক আছে। যেমন , তথ্য গোপনীয়তা, তথ্য অখণ্ডতা, তথ্য নিরাপত্তা ইত্যাদি । মূলত,  কোন তথ্য অন্যের কাছ থেকে গোপন রাখার প্রচেষ্টাই ক্রিপ্টোগ্রাফির মৌলিক কথা। যার জন্য তথ্যটি প্রেরিত কিংবা তথ্যের স্বীকৃত মালিক ব্যতিত এর মূল অর্থ কারো কাছে প্রকাশ না করে তথ্য আদানপ্রদানের জন্যেই এই পদ্ধতির উদ্ভাবন।

সুপ্রাচীন কাল থেকেই তথ্যগুপ্তিলিখনের (cryptography) আদানপ্রদান গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে মানবসভ্যতায়, অনেক সময় ইতিহাসের গতিপথই পরিবর্তন করে দিয়েছে তা। ঐতিহাসিকভাবে লিপিবদ্ধ গুপ্তলিখনের প্রথম উদাহরণটি আমরা পাই প্রাচীন মিশরে, আজ থেকে প্রায় চার হাজার বছর পূর্বে। মিশরে তখন দ্বাদশ রাজবংশের সম্রাট দ্বিতীয় আমেনেমহেতের শাসনামল, তার অধীনে উচ্চ মিশরের মেনেত খুফু নগরীর প্রশাসক ছিলেন দ্বিতীয় খনুমহোতেপ। মৃত্যুর পূর্বে নিজের বংশলতিকা, সমরাভিযান ও অর্জনসমূহ চুনাপাথরের পাহাড়চূড়ায় উৎকীর্ণ করে যান খনুমহোতেপ। সমাধিলিপির বিশ্লেষণে রহস্যজনকভাবে পরিলক্ষিত হয়, বর্ণনার শেষাংশে এসে হায়ারোগ্লিফের চিহ্নগুলো বিভিন্ন জায়গায় পাল্টে দিয়েছে খনুমহোতেপের সুবর্ণিকগণ, সুপরিচিত চিহ্নের পরিবর্তে কম প্রচলিত চিহ্ন ব্যবহার করেছে, লঙ্ঘন করেছে ব্যাকরণবিধির।

দ্যা ফ্লাইং ডাচম্যান, সমুদ্রের রহস্যময় জাহাজ

দ্যা ফ্লাইং ডাচম্যান (The Flying Dutchman) । পৃথিবীর সামুদ্রিক ইতিহাসের এক বিখ্যাত জাহাজের নাম। হাজার হাজার মাইল বিস্তৃত সাগরের পরিধি যেমন সীমাহীন। তেমনই সীমাহীন এর স্রোত আর ঢেউয়ের পরতে পরতে আটকে থাকা রহস্যের খতিয়ান ।  ফ্লাইং ডাচম্যান হচ্ছে সমুদ্রের এক অজানা রহস্যের নাম, কিংবদন্তির এক ভূতুড়ে জাহাজ। কখনো কোন বন্দরে নোঙ্গর ফেলে না এই জাহাজ। শুধু উত্তাল সমুদ্রেই দেখা মেলে পালতোলা এই সামুদ্রিক জলযানের।

 ভুতূড়ে জাহাজ নিয়ে যত লোককাহিনী প্রচলিত আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ফ্লাইং ডাচম্যান। এই লোককাহিনীটির উৎপত্তি মূলত ১৭-শতকের সামুদ্রিক লোকাচারবিদ্যা থেকে। প্রাচীন নথিপত্রে এই জাহাজটিকে ১৮-শতকের শেষের দিকের জাহাজ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ব্লগ কিংবা অনলাইন ডায়েরীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

ডায়েরী বা দিনপঞ্জিকা লেখার অভ্যাস বরাবরই অন্যতম সুন্দর অভ্যাস।সাগর পাড়ি দেয়া নাবিক কিংবা নীল দিগন্তে ভেসে বেড়ানো বৈমানিকরা সেই আদ্যিকাল থেকেই লগবই লিখতেন। তাতে লিখতেন তাদের দৈনন্দিন পথযাত্রার খবরাখবর। সাথে থাকতো নিজেদের একাকীত্ব কিংবা ভাবনার কথা। সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন এসেছে সবকিছুতেই। ডায়েরী লেখার কাজ এখন অনেকেই অনলাইনেই সেরে ফেলেন। এই অনলাইনে নিয়মিত লেখার রেওয়াজকেই বলা হচ্ছে ব্লগ লেখা। এই লেখাটিতে ব্লগের আদ্যোপান্ত সংক্ষেপে লিখতে চেষ্টা করলাম।

প্রারম্ভিকা
ব্লগ শব্দটি ইংরেজ Blog এর বাংলা প্রতিশব্দ, যা এক ধরণের অনলাইন ব্যক্তিগত দিনলিপি বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক পত্রিকা। ইংরেজি Blog শব্দটি আবার Weblog এর সংক্ষিপ্ত রূপ। যিনি ব্লগে পোস্ট করেন তাকে ব্লগার বলা হয়। ব্লগাররা প্রতিনিয়ত তাদের ওয়েবসাইটে কনটেন্ট যুক্ত করেন আর ব্যবহারকারীরা সেখানে তাদের মন্তব্য করতে পারেন।
এছাড়াও সাম্প্রতিক কালে ব্লগ ফ্রিলান্স সাংবাদিকতার একটা মাধ্যম হয়ে উঠছে। সাম্প্রতিক ঘটনাসমূহ নিয়ে এক বা একাধিক ব্লগার রা এটি নিয়মিত আপডেট করেন।

দ্য ঢাকা নিউজ ও ঢাকা প্রকাশ ; ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম খবরের কাগজ

দ্য ঢাকা নিউজ , প্রকাশিত হয় ১৮৫৬ সালের ১৮ই এপ্রিল। মাত্র এক পৃষ্ঠার ইংরেজি সাপ্তাহিক। দাম দুই আনা। বের হতো প্রতি শনিবার। ত্রয়োদশ সংখ্যার পর পৃষ্ঠাসংখ্যা বাড়িয়ে করা হয় চার। আরো কিছু পরে (সম্ভবত ২য় বর্ষ থেকে) এটাকে আট পৃষ্ঠার করা হয়। ছাপা হতো ঢাকা প্রেসে।
ঢাকা প্রেসই ছিল সম্ভবত ঢাকা শহরের প্রথম মুদ্রণ যন্ত্র। অবশ্য এ নিয়ে ভিন্ন মতও আছে। অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন তাঁর ‘উনিশ শতকে ঢাকার মুদ্রণ ও প্রকাশনা’ বইতে ইস্ট বেঙ্গল মিশনারি সোসাইটির একটি রিপোর্টের ছবি ছেপেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে সেটি ১৮৪৯ সালে বড় কাটরা ছাপাখানা থেকে মুদ্রিত। এ থেকে অধ্যাপক মামুন মনে করেন, ১৮৫৬ সালের আগেও ঢাকাতে ছাপাখানা ছিল। অবিভক্ত বাংলায় প্রথম মুদ্রণ যন্ত্র বসে কলকাতায়। পূর্ব বাংলায় প্রথম মুদ্রণ যন্ত্রটি কিন্তু ঢাকায় বসেনি। যতদূর জানা যায়, ১৮৪৭ সালের আগস্টে রংপুরে একটি মুদ্রণ যন্ত্র বসানো হয়েছিল এবং সেখান থেকে ‘রংপুর বার্তাবহ’ নামে একটি সাপ্তাহিক সংবাদপত্র প্রকাশ করা হতো।

বাংলাদেশী ডাকটিকেট..হারানো সময়ের গল্পকথক…

ছোট্ট একটা কৌতুক দিয়ে শুরু করছি। কোন এক মৌখিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীকে জিজ্ঞেস করা হলো, ভারতবর্ষে কে ঘোড়ার ডাকের প্রচলন করেন? পরীক্ষার্থী উত্তরে বলেছিলো, যে ঘোড়াটি প্রথম ভারতবর্ষে আসে, সেই ঘোড়াটি নিশ্চয়ই!! উপমহাদেশে ঘোড়ার ডাকের প্রবর্তক কে ছিলেন, সেটা নিয়ে ইতিহাসের নীরস তত্ত্ব অনুসন্ধানের অনুসন্ধিৎসা আমার আপাতত হচ্ছে না। আমি বরং ডাকটিকেট নিয়ে কথা বলি। ডাকটিকেট কিংবা ডাকটিকিট যে ভাবেই বলুন ইংরেজীতে এটাকে Philately বলে। ডাকটিকেট বহুদিন ধরেই ডাকব্যবস্থার একটি প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ। এর আকার যতই ছোট, আবেদন কিন্তু ঠিক ততটা ছোট নয়। আর, বিশেষ দিনক্ষণ, ঘটনা কিংবা বিশেষ উপলক্ষে ছাপানো ডাকটিকেটের বাড়তি ক্বদর তো থাকেই। একটি দেশের ইতিহাস, সামাজিকতা, নৃ-তাত্ত্বিক বিবর্তন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অনেক কিছুই ধারণ করে থাকে এই ডাকটিকেট নামের ছোট্ট কাগজখন্ডটি। ডাকের চিঠিপত্রের কোনায় আঠা দিয়ে সাঁটানো রঙীন ছোট চারকোনা (কোন কোন টিকেট অবশ্য ত্রিভূজাকৃতি এবং গোলও হয়ে থাকে) কাগজটিই ডাকটিকেট।

১৪ ফেব্রুয়ারী ১৯৮৩; ভালোবাসা দিবস কিংবা জয়নাল দিপালীদের বিস্মৃতি

গুম হয়ে যাওয়া লাশসকল প্রতিশোধ নেবে— বীভত্স কফিনহীন মৃতদেহ রাস্তায় রাস্তায় মোড়ে মোড়ে অলিতে গলিতে অন্ধিতে সন্ধিতে তোমাদের শান্তিশৃঙ্খলা স্থিতিশীলতার গালে থাপ্পড় মেরে অট্টহাসি হেসে উঠবে।   গতকাল ছিলো ১৪ ফেব্রুয়ারী। ভ্যালেন্টাইনস ডে। আমরা দিবসটি পালন করেছি সাড়ম্বরে। শত হাজার টাকার লাল গোলাপের পাপড়ি আর অসংখ্য সুন্দর রোমন্টিক কথার ফুলঝুড়িতে কেটে গেছে আমাদের দৈনন্দিন আরেকটি

নাইট টেম্পলার..একটি কিংবদন্তির ইতিবৃত্ত

দ্য ভিঞ্চি কোড পড়েছেন? ভিঞ্চি কোডের স্যার লেই টিবিং , রবার্ট ল্যাংডন, রোজলিন চ্যাপেল, রোজউডের পাঁচ পাপড়ি বিশিষ্ট গোলাপ আঁকা সেই বাক্স, শত বছরের প্রাচীন রহস্যাবৃত প্রয়োরীদের হাতে সুরক্ষিত স্যাংগৃল দলিল, টেম্পল চার্চ, হলি গ্রেইলের কথা মনে আছে নিশ্চয়ই? ভেনাসের সেই পাঁচভূজের পেনটাকল, হায়ারোস গামোস, গোলক, কি-স্টোন, লিউনার্দো দ্য ভিঞ্চির অনন্য সৃষ্টি ভিটরুভিয়ান ম্যানের সেই