Hafizul Islam

কাঙাল হরিনাথ; গ্রামীণ সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃৎ

হরিনাথ, কাঙাল (জন্ম: ১৮৩৩মৃত্যু: ১৬ এপ্রিল, ১৮৯৬)  সাংবাদিক, সাহিত্যিক,  বাউল গান রচয়িতা। বাংলা লোকসংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক হিসেবে পরিচিত বাউল সঙ্গীতের অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন। তাঁর প্রকৃত নাম হরিনাথ মজুমদার, কিন্তু কাঙাল হরিনাথ নামেই তিনি সমধিক পরিচিত। কাঙাল ফিকিরচাঁদ বা ফিকিরচাঁদ বাউল নামেও তিনি পরিচিত ছিলেন। ১৮৩৩ সালে  নদীয়া (বর্তমান কুষ্টিয়া) জেলার কুমারখালি গ্রামে তাঁর জন্ম।

প্রারম্ভিক জীবন:-

তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের নদীয়া জেলার কুমারখালীতে (বর্তমান বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলা) জন্মগ্রহণ করেন। খুব ছোটবেলায় তাঁর পিতা-মাতা লোকান্তরিত হন। তাঁর পিতার নাম হরচন্দ্র মজুমদার। বাল্যকালে কৃষ্ণনাথ মজুমদারের ইংরেজি স্কুলে কিছুদিন অধ্যয়ন করেন। কিন্তু অর্থাভাবে প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্যাশিক্ষায় বেশীদূর অগ্রসর হতে পারেননি। তবে সারাজীবন অবহেলিত গ্রামবাংলায় শিক্ষাবিস্তারের জন্য ও শোষণের বিরুদ্ধে সংবাদপত্রের মাধ্যমে আন্দোলন করেছেন তিনি। অতঃপর গোপাল কুণ্ডু, যাদব কুণ্ডু, গোপাল স্যান্যাল প্রমূখ বন্ধুদের সাহায্যে ১৩ জানুয়ারি, ১৮৫৫ সালে নিজ গ্রামে একটি ভার্নাকুলার বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন হরিনাথ মজুমদার। এরপর বেশ কিছুদিন ঐ বিদ্যালয়েই বিনাবেতনে শিক্ষকতার মহান পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁরই সহায়তায় ২৩ ডিসেম্বর, ১৮৫৬ সালে কৃষ্ণনাথ মজুমদার কুমারখালিতে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন।

মোনাজাত উদ্দীন, একজন কিংবদন্তির সাংবাদিক

মোনাজাত উদ্দিন, বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জগতের একটি স্মরণীয় নাম। শুধু সাংবাদিক নন তিনি নিজেই হয়ে উঠেছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান।  তিনি ছিলেন তৃণমূল মানুষের সংবাদ কর্মী, ছিলেন জনগণের সাংবাদিক । খবরের অন্তরালে যে সব খবর লুকিয়ে থাকে তিনি ছিলেন সেই সব তথ্যানুসন্ধানের নেপথ্যের মানুষ। রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে তিনি নতুন মাত্রা যোগ করেছিলেন দেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে।

[themeum_button size=”lg” type=”success” url=”http://www.mediafire.com/download/449t3ei37ta2arg/monajatuddin_rachanasamagra_01.pdf”  text=”মোনাজাত উদ্দিন রচনাসমগ্র – ১ম খন্ড । ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন”]

গ্রামে গঞ্জে, পথ থেকে পথে ঘুরে ঘুরে এই তথ্যানুসন্ধানী সংবাদকর্মী তাঁর সাংবাদিক জীবনে নানা মাত্রিকতার রিপোর্ট করেছেন। পাশাপাশি লিখেছেন জীবনের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ নানা ঘটনা। তিনি তাঁর কর্মের মাধ্যমেই অমর হয়ে থাকবেন আমাদের হৃদয়ের মণিকোঠায়।

রংপুরের কৃতি সন্তান, রংপুরে গর্ব চারণ সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিনের নাম স্মরণীয় হয়ে থাকবে রংপুরের প্রথম দৈনিক পত্রিকা ‘দৈনিক রংপুর’ এর প্রকাশক ও সম্পাদক হিসেবে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের মার্চে স্বাধীন চিন্তা, বিশ্বাস আর আদর্শের ভিত্তিতে প্রকাশ করেন ‘দৈনিক রংপুর’। শুধুমাত্র স্থানীয় সংবাদের ভিত্তিতে তিনি এই পত্রিকাটি বের করার চিন্তা করেন। ‘দৈনিক রংপুর’ ছিল মিনি সাইজের পত্রিকা, দাম মাত্র পাঁচ পয়সা। মোনাজাত উদ্দিন ছিলেন এর সম্পাদক-প্রকাশক। পত্রিকাটি প্রকাশের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করতেন একজন স্থানীয় ব্যবসায়ী। বাহ্যিকভাবে সেই ব্যবসায়ী সৎ মনে হলেও, প্রকৃতপক্ষে তিনি ছিলেন একজন অসৎ ব্যবসায়ী। যে কারণে তাঁর সঙ্গে মোনাজাত উদ্দিনের সম্পর্কের ইতি ঘটে। অবধারিতভাবেই এই পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু লেখালেখির সাথে তাঁর বিচ্ছেদ ঘটেনি মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত।

এডওয়ার্ড সায়িদ, একজন মুক্তমনের মানুষ ও দুরন্ত সাহসী মহীরুহ

গত শতকের অস্থির, দ্রুত পরিবর্তনমুখী বুদ্ধিবৃত্তিক আবহে এডওয়ার্ড সাঈদ ছিলেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সৃষ্টিশীল চিন্তাবিদদের একজন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, বিশেষত ষাট ও সত্তরের দশকে সকল ধরনের ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের কাছে আনতে অসম্ভব একটা মানব-বিশ্বে সাঈদের আবির্ভাব প্রচণ্ড আলোড়নের মতো, যা নাড়িয়ে দেয় পশ্চিমের সাংস্কৃতিক প্রভাবনের সূত্রে অর্জিত ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের মূল-ভিত্তির কৃত্রিম গ্রন্থিগুলো খুলে খুলে দেখায় এবং এভাবে অনুন্নত অঞ্চলগুলোর, বিশেষ করে প্রাক্তন উপনিবেশিত দেশসমূহের মানুষদের চিন্তাভঙ্গির দীর্ঘকালীন উপনিবেশিক-অনুবর্তনের মধ্যে সূচিত করে অবমুক্তি ও বিকাশের তীব্র সম্ভাবনা। সাহিত্যের ছাত্র ও অধ্যাপক হয়েও আর্থ-রাজনৈতিক, সামাজিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সকল কর্তৃত্বকেই তিনি চিহ্নিত করেন, বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে আক্রমণ করেন, তার স্বরূপ উন্মোচন করে দেখান।

জেরুজালেমে ১৯৩৫ সালে এডওয়ার্ড ওয়াদি সায়িদের জন্ম।আর দশ জন ফিলিস্তিনির মতোই বাস্তুচ্যুত হয়ে মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবার সাথে কায়রোতে এসে একটি এলিট ইংরেজি স্কুলে ভর্তি হন।খৃস্টান ধর্মাবলম্বী সায়িদ ১৯৫১সালে আমেরিকাতে পাড়ি জমান। যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৭ সালে বি.., ১৯৬০এ এম.. পাস করেন । পিএইচ. ডি. করেন হার্ভাডে, ১৯৬৪ সনে। পুস্তক সংখ্যা কুড়িটির উপরে। ‘ওরিয়েন্টালিজম’ ছাড়াও ‘কোশ্চেন অব প্যালেস্টাইন’ (১৯৭৯), ‘কাভারিং ইসলাম’ (১৯৮১), ‘কালচার এন্ড ইম্পেরিয়ালিজম’(১৯৯৩),আত্মজীবনী-‘আউট অব প্লেসঃ এ মেমোয়ার’(১৯৯৯), ‘ফ্রয়েড এন্ড নন্‌ ইউরোপীয়ান’(২০০৩)প্রভৃতি সাড়া জাগানো সৃষ্টিকর্মের তকমা পেয়েছে। ওরিয়েন্টালিজম ৩৬ টিরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয় সত্য, কিন্তু বাকিগুলোও কি কম গেছে!