Hafizul Islam

নক্ষত্রের রাজ্যে একদিন

সুরাইয়া ও আল-দাবরানের আকাশিয়া প্রেম এবং একটি দারুন রাতের গল্প

আকাশের বিশালতায়ও নাকি হাজার বছরের এক অসমাপ্ত প্রেমকাহিনী বেঁচে আছে সহস্র বছর ধরে! চমকে উঠলেন? আমিও অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। সেদিন সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অডিটোরিয়ামের ছাঁদে দাঁড়িয়ে রাতের আকাশ দেখতে দেখতে যখন একজন বলছিলেন সুরাইয়া আর আল দাবরানের গল্প, তখন আমি ভাবছিলাম, কী দারুন মানুষের কল্পনা! ভ্রমির আয়োজনে নক্ষত্রের রাজ্যে একদিন নামক একটি মহাকাশ বিষয়ক ওয়ার্কশপে

কর্ণফুলিতে অপার্থিব সন্ধ্যা এবং একটি চলমান পেইন্টিংয়ের ড্রাফট

কখন কোথাও যাওয়া হবে আমার, এই ব্যাপারটাকে এখনো স্থির করে উঠতে পারি নি। পরিকল্পনা করে কিছু করতে গেলেই ফেঁসে যায় প্ল্যান। তাই, সে চেষ্টা বাদ দিয়ে এখন হুট করে চলে যাওয়ার চেষ্টা করি। তেমন করেই এবার কাপ্তাইয়ে যাওয়া। এবারের উদ্দেশ্য কর্ণফুলীতে কায়াকিং করা এবং সম্ভব হলে কাপ্তাইয়ে টুকটাক ঘুরাঘুরি। আমি, অন্তরা, মনির, মহিমা এবং মেহেদী

বিরুপাক্ষের গেরুয়া সন্ন্যাসী ও পৌরানিক ট্রেইলে যাত্রা

“মৃত্যু নহে বিচ্ছেদ চির মিলনের দ্বার” পাহাড়ি পথ আমার সবসময় ভালো লাগে। সরু ফিতের মতো চলে যাওয়া ট্রেইলে, পায়ে পায়ে আমি ঢুকে যেতে থাকি নৈঃশব্দের বাড়িতে। শহুরে ব্যস্ততা কিংবা কোলাহল এখানে ক্রমেই তাল হারায়। একসারিতে হেঁটে চলা আরো আরো শান্ত সময়ের পানে। এমনই এক ট্রেইলে হেঁটেছি এই সেদিন। অল্টিচ্যুড আউটডোর এক্টিভিটিস ( Altitude – outdoor activities ) এর

পাহাড়ি রাজকন্যা এবং চন্দনের ঘ্রাণমাখা কোন এক বিকেল

সময়টা বহুদিন আগের। আমি তখন উড়ে বেড়াচ্ছি ভোকাট্টা ঘুড়ি হয়ে। ককসবাজারে অফ সিজন চলছে। অসম্ভব রকমের মানসিক চাপ নিয়ে ঢাকা ছেড়েছিলাম সেইবার। সাথে ২ রুমমেট। কোন একবিকেলে বার্মিজ মার্কেটে গিয়েছি।  হাঁটা এবং দেখা, এর দুটোই ফ্রি বলেই হয়তো  ঘুরে ফিরে দেখছিলাম। পকেটে অগ্রীম কেটে নেয়া ফিরতি-টিকেট ছাড়া একটা সিকি-আধুলিও নেই। খাওয়া-দাওয়া চলছে রুটি-কলা-বিস্কিটের উপর। থাকছি সস্তার

কল্প-ডানায় সাতসাগর পাড়ি …

এখন সকাল ৫.১০। বড়ো’পার হাকডাকে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। ‘‘এ্যাই! তুই এখনো ঘুমোচ্ছিস? আশ্চর্য!!! আজকে না আমাদের বেড়াতে যাবার কথা! দেখ দেখ, বাইরে কি সুন্দর সকাল! ’’ আপি জানালার পর্দাটা সরিয়ে দিলেন।   আলোকিত আকাশ   ঝলমলে আলোর বন্যা ভাসিয়ে নিয়ে গেলো রাতভর ঘাপটি মেরে অঘোরে ঘুমোনো জমাট অন্ধকার। নতুন সূর্যরশ্মির প্রতিটি আলোকবিন্দু ফোটায় ফোটায় ঝরছে