Hafizul Islam

একজন ছেলেধরার সাথে হারিয়ে-যাওয়া-আমার একটি বিকেল

আমরা তখন মুন্সিগঞ্জ জেলা সদরের উকিলপাড়া নামক এলাকাতে থাকি। মা, আমি আর ছোটখালা। ভিটেপাকা টিনের দুটি ঘর মিলে একটি বাড়ি। একঘরে আমরা। অন্যটাতে থাকতো আসলাম ভাইয়েরা। আসলাম ভাইদের সাথে পরিচয় এই বাড়িতে আসার পর। আমরা চিটাগাং ছেড়ে চলে এসেছি সবে কিছুদিন হয়েছে। এখানের কিছুই চিনি না। চারদিকে ছেলেধরার খুব উপদ্রব চলছে..। সেকারণে বাড়ির ৬ হাত

জেরোনিমোর আত্মকথা; খন্ড-অনুবাদ

# “এখানে আমাদের এরিজোনার মতো পরিবেশ কিংবা মাটি নেই, যেসবের কথা আমার মনের মধ্যে গেঁথে আছে। আমাদের ছিলো দারুনসব চারণভূমি, সবুজ ঘাসে আচ্ছাদিত প্রেইরী, সারিসারি বৃক্ষরাজি, প্রাকৃতিক সম্পদ। যে ভূমি সর্বশক্তিমান শুধুমাত্র এপাচিদের জন্যেই তৈরী করেছেন। আমার নিজের দেশ! নিজের ঘর! আমার বাবার দেশ! যেখানে ফিরে যাওয়া কথা আমি এখন বলতে পারছি। আমি আমার জীবনের

চৌরাস্তার বিলবোর্ডে এই আমি কি তোমার আমি?

রাত বাড়ছে আমার চারপাশ জুড়ে জানালার শার্সী গলে চুপচাপ ঢুকে পড়ছে পৌষের হিম.. টুপটাপ ঝড়ছে কুয়াশার দল..। শীতে কাতর রাত পড়ে আছে শহরে.. আমি ভাবছি…। হাঁটছি..। তাকিয়ে দেখছি আয়নায়.. সেখানে কি আমাকে দেখা যায়? এই নিঝঝুম প্রহরে.. আমি ছিলাম না কখনো কোথাও তোমাদের হিসেবের খতিয়ানে.. ডায়েরীর পাতা কিংবা হৃদয়ের অন্দরে তবুও বলেছি নিজেকে, আমি নিশ্চয়

আমি গিট্টুর ভাই ‘বলা’ বলছি!

চিটাগাং থেকে বাবার পোষ্টিং তখন ঢাকার সদরঘাট ফায়ার সার্ভিসে। কোয়ার্টার ছেড়ে দিয়ে আমরা উঠেছি নিজেদের গ্রামের বাড়িতে। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়াতে। শৈশবের প্রথম থেকেই আমি বেড়ে উঠেছি শহুরে পরিবেশে। গ্রামের আবহাওয়া, মানুষজন, মাটির নিকানো উঠোন, গরু-মুরগীর হাঁকডাক ইত্যাদিতে তখনো অভ্যস্ত হতে পারি নি। এমনিতেও অবশ্য বুদ্ধিশুদ্ধি কিছুটা কমই আমার। সেকারণেই বোধকরি, সবার কথা ঠিকমতো বুঝতে সময় লেগে

শম্পা ও মৌসুমীকে নিয়ে আমাদের প্রেম অতঃপর…

শম্পা ও মৌসুমীদের বাড়ি তখন আমাদের প্রাইমারী ইশকুলের কাছেই। সাজানো গোছানো পরিপাটি উঠোনের একপাশে ছোটমতো বাগান। কাঠের নকশাকাঁটা টিনের বেড়া আর চৌচালা ঘর, সাথে শানবাধানো পুকুর। স্বচ্ছলতার ছাপ চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। শম্পা আর মৌসুমী পড়তো আমাদের সাথেই। একই ইশকুলে। দুইবোনের মধ্যে শম্পা ছোট আর মৌসুমী বড়ো। ওদের ছোটবেলা কেটেছে ঢাকার কোথাও। তাই, ওদের পোশাক-আশাক,

শ্রাবণের রাতে সবজিবোঝাই ভ্যান, ঝুম বৃষ্টি এবং আমার প্রথম উপার্জন

বৃষ্টিতে ভেসে যাচ্ছে মৌচাক-মালিবাগ সড়ক। রাত তখন ১ টা থেকে ২টা। আমি হেঁটে বেড়াচ্ছি। ঘুরে ফিরছি। রাতের শহর আমার কাছে সবসময়ই অন্যরকম। ভালোলাগার। পড়নে লুঙ্গি আর গেঞ্জি। একটু আগে মালিবাগ পদ্মা সিনেমা হলের কাছে কয়েকজন ট্রাক-শ্রমিকের সাথে ফুটপাতে বসে চা খেয়েছি। হাত-পা ছড়িয়ে বসে গল্প করেছি। শুনেছি তাদের গল্প..। দূরের কোন ছোট্ট গায়ে রেখে আসা আদরের

রাতুলের কপোতাক্ষ নদ কিংবা সাধারণ একটি বাথটাবের গল্প

রাতুলের সাথে আমার প্রথম দেখা হয় জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটির কলাভবনের পাশের রাস্তায়। ঝকঝকে চেহারার ছেলে। চোখের চশমা আর বড়ো ডায়ালের হাতঘড়িতে রীতিমতো স্মার্ট বলা চলে। জীবনের পথচলার ধরণ ভিন্ন হওয়ার কারনেই হয়তো খুব ঝকঝকে চেহারার মানুষদের সাথে আমার একটা অদ্ভূত দূরত্ব থাকে প্রথম থেকেই। কারণ, আমার মনে হয়, আমাকে বুঝতে পারার মতো সময় এবং মানসিকতা তাদের

শত মুখোশের অন্য এক আমি

আমি হারিয়ে গেছি কোথায় এবং কখন জানতে পারি নি সেকথা.. এই কোলাহলের জাদুর শহর আমাকে বদলে দিয়েছে..। আসলেই কি তাই!   মুখোশোর পর মুখোশ জমছে চেহারার পরতে পরতে মুখের খোঁজ কোথায় মিলবে, জানো কি কেহ? সিটি কর্পোরেশনের মূর্দা বহিতে আমার নাম উঠে আছে বহুদিন মোড়ের রঙজ্বলা পোষ্টারসাঁটা ষ্টুডিওতে সেদিন গিয়েছিলাম পাসপোর্ট সাইজ ছবির জন্য ফিরতে