Hafizul Islam

আকাশের ঠিকানায় লিখছি তোকে…

প্রিয়, চিঠির শুরুতে ‘’কেমন আছিস?’’ জাতীয় বাক্য ব্যবহার করাই হয়তো সামাজিক রেওয়াজ। কিন্তু, আমি সেটা জিজ্ঞেস করবো না। কারণ, আমাদের সম্পর্কটাই যে বড়ো বেশি অন্যরকম! যখন তোকে লিখছি, কাকতালীয় হলেও প্রতিবারের মতো আকাশে তখনও ঝুলে আছে ম্লান , বিষণ্ণ, ভয়ানক একা , একটা চাঁদ। কি অবাক কান্ড বলতো! তোকে যখনই লিখতে বসি, তখনই কি করে

১৪ ফেব্রুয়ারী ১৯৮৩; ভালোবাসা দিবস কিংবা জয়নাল দিপালীদের বিস্মৃতি

গুম হয়ে যাওয়া লাশসকল প্রতিশোধ নেবে— বীভত্স কফিনহীন মৃতদেহ রাস্তায় রাস্তায় মোড়ে মোড়ে অলিতে গলিতে অন্ধিতে সন্ধিতে তোমাদের শান্তিশৃঙ্খলা স্থিতিশীলতার গালে থাপ্পড় মেরে অট্টহাসি হেসে উঠবে।   গতকাল ছিলো ১৪ ফেব্রুয়ারী। ভ্যালেন্টাইনস ডে। আমরা দিবসটি পালন করেছি সাড়ম্বরে। শত হাজার টাকার লাল গোলাপের পাপড়ি আর অসংখ্য সুন্দর রোমন্টিক কথার ফুলঝুড়িতে কেটে গেছে আমাদের দৈনন্দিন আরেকটি

মার্জিনে অন্তরীন শঙ্খনীল শব্দগুচ্ছ…

উৎসর্গ: দু’জন অসম্ভব প্রিয় মানুষকে। যারা কখনোই বুঝতে পারবে না, এই রুপালি গিটার তাদের কতো বেশি ভালোবাসে। অঝোর অশ্রুধারা জলের অঞ্জলী ছাড়া, তাদের আর কিছুই দেয়ার সাধ্য আমার নেই। আমার সব ভালোবাসা আর গান তোমাদের জন্যই। তোমরা না হয় নাইবা জানলে..। জীবন যখন শুকায়ে যায়, করুণাধারায় এসো..। =========================   নির্ভার শূণ্যতার ভারাক্রান্ত প্রচ্ছদে চলিষ্ণু হয়ে

এক বিন্দু শিশির কনা এবং …

উৎসর্গ: সেই প্রিয় মানুষটিকে। যে অনেকদিন প্রাণখুলে হাসতে পারে না। কোন লেখা তাকে উৎসর্গ করি না বলে অনুযোগ করে। লাল শাড়ী পড়ে সেই মানুষটা, প্রস্তুতি নিচ্ছে নববর্ষ উদযাপনের । লাল শাড়ীর রঙিন সুতোর আড়ালে, তার বেদনা নীল ক্ষত, কারো চোখে পড়বে কি? ——————————– রাত বাড়ছে ক্রমশঃ। শীতের রাত। আকাশে ঝুলে আছে হাজার বছরের পুরনো ভয়ানক

হেলেন অব ট্রয়..গ্রীক পুরাণের একটি দুর্বোধ্য কিংবদন্তির চরিত্র..

Was this the face that launch’d a thousand ships And burnt the topless towers of Ilium? হেলেন। হেলেন অব ট্রয় । দেবতাধিরাজ জিউসের কন্যা হেলেন। গ্রীক ও রোমান পুরাণের সর্বাধিক আলোচিত নারীচরিত্র। ভালোবাসা এবং জিঘাংসা, সৃষ্টি ও ধ্বংস, রাজকীয় বিশ্বাস আর শঠতা যে চরিত্রকে ঘিরে আবর্তিত হয়ে চলেছে সহস্র বছর ধরে। অনন্য সাধারণ অনুপম সৌন্দর্য

বাংলা কম্পিউটিং..একটি স্বপ্নযাত্রার প্রারম্ভিকা..

  উদ্ভাবনের উম্মাদনায় নতুনত্বের খোঁজে নিরন্তর ছুটে চলে সৃষ্টিশীল মানুষ। প্রতি নিয়ত তাদের হাত ধরে উন্নতির পথে চলছে সভ্যতার অগ্রযাত্রা। একবিংশ শতাব্দীর বর্তমান পৃথিবী এখন প্রযুক্তিনির্ভর। ফাইবার অপটিক, থ্রিজি কিংবা এর চেয়ে কোন উন্নততর অন্তর্জাল বিশ্বকে পরিনত করছে গ্লোবাল ভিলেজে। অজপাড়া গাঁয়ের স্বাপ্নিক কিশোরটি পিসির সামনে বসে ঘুরে বেড়াচ্ছে হিল্লি-দিল্লি, লন্ডন কিংবা আমেরিকা। ভার্চুয়াল জগত

একটি অন্তর্ভেদী অনুসন্ধান..পেশোয়ার এক্সপ্রেস (কৃষণ চন্দর)

বাংলা অনুবাদের প্রচ্ছদ। এই সংস্করণটি অনুবাদ করেছেন: জাফর আলম। প্রকাশ করেছে সম্ভবতঃ প্রথমা প্রকাশন। (আমি সঠিক বলতে পারছি না বলে দুঃখিত।) ============================== ১৯৪৭ সালের ভারত উপমহাদেশের বিভক্তি,আমাদের অঞ্চলগত এবং নৃতাত্ত্বিক ইতিহাসের একটি রক্তাক্ত অধ্যায়। ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি পৃথক রাষ্ট্র সৃষ্টির নির্মম প্রহসনের দৃশ্যায়ন ছিলো, আগ্রাসী ব্রিটিশের চরম সাম্প্রদায়িক ও প্রতিশোধাত্মক ভেদনীতি অনুসরণের চূড়ান্ত

অজানা বন্দরে জমাও পাঁড়ি..

ব্যক্তিমানুষের সীমাহীন ক্ল্পনার মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়া বিপুলায়তন মহাবিশ্বের একমাত্র সবুজ এবং প্রাণের উপস্থিতি এই গ্রহেই। অসংখ্য জীবের বসবাস এখানে। বহুকাল ধরে হাজারো সূর্যের উদয়াস্ত দেখতে দেখতে, ক্রমাগত বাড়ছে পৃথিবীর বয়স। অগনিত মানুষ আর জাতিসত্ত্বার উত্থান, পতন, লয়, সবই সে দেখে চলেছে নীরবে নিভৃতে। কারো আগমন হয় খুবই সাধারণ। আবার, কারোটা হয় দুর্বার। কারো হারিয়ে যাওয়ার