Hafizul Islam

Violent-visual-media

“সহিংস দৃশ্যমাধ্যম ও শিশুমন: প্রভাব গবেষণার আশি বছর” প্রবন্ধের রিভিউ

গণমাধ্যম আমাদের সংস্কৃতি ও দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি অনুষঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। প্রযুক্তির উন্নয়ন ও অগ্রগামী ভূমিকার ফলে গণমাধ্যমের রূপ পরিবর্তিত হচ্ছে। দৃশ্যমাধ্যম হিসেবে গণমাধ্যমের আঙিনায় যাত্রা শুরু করে টেলিভিশন। ১৯৩০ এর দশকে চলচ্চিত্র ও ১৯৫০ এর দশকে এর কাছাকাছি সময়ে টেলিভিশনের উত্থানকালের শুরু থেকেই মানসিক স্বাস্থ্যবিদ, গবেষক ও গণমাধ্যম বিষয়ক গবেষকগণ শিশুদের দৈনন্দিন জীবনে টেলিভিশন

সেমিওলজি কি? সেমিওলজির মাধ্যমে চলচ্চিত্র বিশ্লেষণের উদাহরণ

সেমিওলজি বা চিহ্নবিদ্যা হচ্ছে আমাদের চারপাশের নানান অনুষঙ্গে জড়িয়ে থাকা চিহ্নের অধ্যয়ন বা পাঠ বিষয়ক একটি অধ্যয়ন শাখা। সেমেনটিকস, সেমিওটিকস, সেমোলজি, সেমাসিওলজি এবং সেমোওলজি সবই গ্রীক শব্দ সেমাইনোর বিভিন্ন রূপ থেকে গঠিত হয়েছে। সেমোলজি একটি বিস্তৃত ক্ষেত্রকে বোঝায়। সাধারণভাবে ব্যবহারিক আচরণের উপর নির্ভর করে চিহ্নের অধ্যয়নকে সেমিওলজি বলা হয়। এর মধ্যে শব্দ, চিত্র, অঙ্গভঙ্গি, অবজেক্টস,

cinema-naratives

এলিমেন্ট অব ন্যারাটিভের ভিত্তিতে ১টি বাংলা ও ১টি ইংলিশ সিনেমার বিশ্লেষণ

চলচ্চিত্র একটি শক্তিশালী ও মিশ্র শিল্পমাধ্যম। সাহিত্য, সংগীত, আর্ট, ফটোগ্রাফি, নাট্যকলাসহ নানাধর্মী মৌলিক শিল্পের সমন্বয়ে তৈরী এই মাধ্যমটি সামাজিক ভূমিকা ও গণমানুষ বা ভোক্তাশ্রেণীর বিবেচনায় বেশিরভাগ মৌলিক শিল্পমাধ্যমকে ছাপিয়ে গেছে। চলচ্চিত্রকে তূলনামূলক ও সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ করার বিষয়টি সবসময়ই কিছুটা জটিল। তাই, দুটি চলচ্চিত্রের তূলনামূলক ও সমালোচনামূলক বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন পরস্পর সম্পর্কিত চলক বা ভ্যারিয়েবলের

olevel-rape-incident

কলাবাগানে ও-লেভেল শিক্ষার্থীর ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় প্রকাশিত সংবাদ রিভিউ

০৭ জানুয়ারি ২০২১ ঢাকায় একজন স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। ঘটনাটি প্রকাশের পর থেকে দেশজুড়ে মানুষের মধ্যে অসন্তোষ ও তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে থেকে জানা যায়, ঘটনার দিন সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে

আমার মৃত্যুর দিনটি যেমন হতে পারে

– শুনছেন! মুনশি বাড়ির মফিজলের পোলা রনি নাকি মইরা গ্যাছে! – কোন রনি? – আরে! ফিরোজসাবগো বাড়ির চান্দু আছে না? চান্দুর ছোড ভাইয়ের পোলা। ঢাকা শহরে বড় ভার্সিটিত্ আছিল। – অঅঅঅ! আমাগো মইজুলের পোলাডা! বদিয়ার নাতি! আহারে! পোলাডা আদব কায়দা জানতো। আমার লগে একবার রমযান মাসে  তারাবির পরে কথা হইছিলো। উপরের আলাপটা আমার গ্রামের কোন

সাইকেল চালানো শেখার জটিল জার্ণি ও বিডি সাইক্লিস্টস

-ভাই, একটু সোজা হইয়া বসেন! -আরে মিয়া, এমনে নড়াচড়া করলে হইবো! আজব পাবলিক! -খাড়ান খাড়ান…থামেন ভাই। আপনেরে আমি সাইকেল চালাইন্না হিগাইতে পারুম না। এমন পাত্থরের মতোন শরীল লইয়া আমনেরে দিয়া সাইকেল চালাইন্না হইবো না। আমার অসংখ্যবার সাইকেল চালানো শেখার এক বারের আলাপ এটি। ছোটবেলা থেকে সাইকেল নিষিদ্ধ ছিলো আমার পরিবারে। কঠিন নিয়মের মধ্যে হোস্টেলে থেকে

যন্ত্রপাখির ডানায় চড়ে প্রথমবারের উড়ান

লোহার বানাইনন্যা বিমানডা এতো মানুষ লইয়া ক্যামনে উড়ে!!! শৈশবে আকাশে বিমান উড়ে যেতে দেখলেই প্রশ্নটা মাথায় ঘুরতো। তখন আমরা চিটাগাংয়ে থাকি। আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস কোয়ার্টারে। বিমানের শব্দ আমার কাছে মহাজাগতিক ইস্রাফিলের শিঙ্গায় ফুঁ দেয়ার শব্দের মতো মনে হতো। সেই সময়ে আমার একজন আত্মীয় আমাকে চিটাগাং বিমানবন্দরে বেড়াতে নিয়ে গেলেন। তিনি আবহাওয়া অধিদপ্তরে তার কাজের সুবাদে

littleness কিংবা ক্ষুদ্রতা শব্দটির সাথে আমার পরিচয় যেভাবে

ক্ষুদ্র শব্দটির সাথে আমার সত্যিকারের পরিচয় হয় ২০০০ সালের কোন এক ভরদুপুরে। সেদিন বাস অ্যাক্সিডেন্টে আমার সবচে প্রিয়জন, বড় মামার মৃত্যু হয়। লাশকাটা ঘর আমি সেদিনই প্রথম দেখি। মামার মৃত্যুর খবর আমাদের পরিবারের জন্য অনেক বড় একটি আঘাত হিসেবে এসেছিলো। সেই সময়ের ক্ষত এখনো কাটে নি বলেই আমার মনে হয়। নারায়নগঞ্জ সরকারি মর্গের লাশকাটা ঘরের