Hafizul Islam

আগুনের দিনগুলোতে আমার ফায়ারম্যান বাবা ও আমাদের নিজস্ব গল্প

এইগুলা আগুনের জুতা বাবা! তোমার আব্বুতো আগুন নিভায়। সেইকারণে আগুনের মধ্যে দিয়ে আব্বুকে হাঁটতে হয়। এই বড় বড় জুতা পড়লে আগুন আর ধরতে পারে না। শৈশবে আমাদের বাসায় বাবার লম্বা সাইজের গামবুট দেখে মায়ের কাছে জানতে চেয়েছিলাম,  জুতাগুলো এতো বড়ো কেনো। মা তখন আমাকে জানিয়েছিলেন, এই জুতা পড়লে আর আগুন নাকি আমার বাবাকে ছুঁতে পারে

protidwondi

সুনীলের ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ ও সত্যজিতের ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ ; অভিযোজনের তুলনামূলক বিশ্লেষণ

সুনীলের রচনায় সত্যজিতের নির্মাণ, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ দুই ক্ষণজন্মা মানুষকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে একসারিতে। পূর্বের আলোচনায় আমরা উপন্যাস এবং চলচ্চিত্রের অভিযোজন, তুলনামূলক নানান বিষয় তুলে ধরেছি। এবারে একটু ভিন্নভাবে কিছু বিষয় আলোকপাত করছি। সত্যজিৎ রায়ের নির্মাণ কুশলতা কিংবা চিত্রায়ণ ও সৃষ্টিশীলতা নিয়ে কোন সংকোচ কিংবা দ্বিধার অবকাশ নেই। অপরদিকে সুনীলের গ্রহণযোগ্যতা কিংবা সৃজণশীলতা অবশ্যই নমস্য। সত্যজিৎ যখন

নাটিকা: শান্তি ও যুদ্ধের মধ্যে কথোপকথন

চরিত্র সমুহঃ  শান্তি, যুদ্ধ, দর্শক [একজন শান্তির চরিত্রে অভিনয় করবে। আরেকজনকে দেখা যাবে যুদ্ধের চরিত্রে। মঞ্চের পেছন থেকে প্রথমে নেপথ্য শব্দআবহ ভেসে আসবে। সম্ভব হলে আলো-আধারির পরিবেশ তৈরী করা হবে। দুটি চরিত্র মঞ্চের দুইপাশে নিজেদের দরকার অনুসারে স্থান পাল্টে সংলাপ চালিয়ে যাবে। কিছুটা নাটকীয় ঢং ও আওয়াজে কথা হবে। ]   সংলাপ ১ শান্তিঃ যুদ্ধ!

বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে জনসংযোগ ও বিজ্ঞাপন

জনসংযোগ ও বিজ্ঞাপনের বাংলাদেশ প্রেক্ষিত নিয়ে সংক্ষেপে আলোকপাত করার অভিপ্রায় থেকে এই রচনাটি।  বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন বলতে আমরা প্রধানত ঢাকার বিজ্ঞাপনকেই বুঝি। প্রথম থেকেই ঢাকাকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে ও হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাবসার একটি বৃহৎ অংশ। ৬০ এর দশকে ঢাকাকেন্দ্রিক বিজ্ঞাপন সময়ের শুরু হয়। আমরা কিছু বিখ্যাত বিজ্ঞাপন নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঢাকাই বিজ্ঞাপনের কথা

স্ট্রিট ফটোগ্রাফির অন্দরমহলে আপনাকে নিয়ে যাবেন আলোকচিত্রী মোঃ এনামুল কবির

মোঃ এনামুল কবির। ১২১ ক্লিকসের সাথে বিস্তারিত আলাপ করেছেন স্ট্রিট ফটোগ্রাফির বিভিন্ন রকমের সুক্ষ ও গভীর বিষয় নিয়ে। কথা বলেছেন নিজের আলোকচিত্রের ভিন্ন ধরণ ও যে বিষয়গুলো তার ফটোগ্রাফিকে নানাভাবে প্রভাবিত করেছে, সেসব নিয়ে। অনেকের মতো কীভাবে স্ট্রিট ফটোগ্রাফি তার কাছে বিশেষ ভালোবাসার একটি জায়গা হয়ে উঠলো, সেটা নিয়েও খোলাখুলি জানিয়েছেন আমাদের। তার আলোকচিত্রে সবসময়ই

বাংলাদেশি ফটোগ্রাফার আবু রাসেল রনির সাথে আলাপ

আবু রাসেল রনি। বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় জন্ম। চাকরী করেন একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে। ফটোগ্রাফি নিয়ে ভীষণ আগ্রহী ও একাগ্রচিত্তের এই আলোকচিত্রী ২০১০ সাল থেকে ছবি তুলছেন। বাংলাদেশি অনেক ফটোগ্রাফার তার অনুপ্রেরণার উৎস। আমি পথে-ঘাটে ছবি তুলতে ভালোবাসি। ইচ্ছেমতো হেঁটে বেড়াতে এবং চারপাশে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য মুহুর্তগুলো ক্যামেরায় তুলে রাখা আমার কাছে সৌভাগ্যের মনে হয়। তার ভাষায়

গগন একটি জলরঙা পোর্ট্রেটের গল্প জানেন

গগন একটি জলরঙা পোর্ট্রেটের গল্প জানেন দূরাগত জাহাজে সফেন সাগরের সন্ধ্যার রঙ তার বহু দিনের চেনা নোনাজলের ঘ্রাণ তার নাকে মুখে শরীরে আস্তরনের মতো লেগে থাকে ইস্তাম্বুলের বাজারে তার সাথে যে নাবিক বসেছিলো খানিকটা সময় আজকাল গগন তাকেও খুঁজে ফেরেন নাজিরাবাজার মোড়ে..। সস্তা ক্যানভাস মোড়কে আটকে পড়া দূরাগত জাহাজ কিংবা তার সংগোপন কান্নার ধ্বনি উড়ে

Source_the_rivers_scams – PHOTO • P. SAINATH

অনুবাদ: খরাপীড়িত জনপদে পানির হাহাকার ও মহারাষ্ট্রে জলচুরির জালিয়াতি – পি সাইনাথ

মহারাষ্ট্রে পানি উন্নয়ন খাতে অর্থের বন্যা হওয়ার পরেও কেনো নদীগুলো ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্ছে? কৃষ্ণা নদীর ভাটিতে পি সাইনাথের একটি ভ্রমণ বৃত্তান্ত তিনি সত্তরোর্ধ একজন স্ট্রবেরি চাষী। ওড়িষ্যা রাজ্যের পুরোনো মহাবালেশ্বরে নিজের ৩ একর জমিতে চাষাবাদ করেন। পানির প্রয়োজন মেটাতে পারিবারিক কূপ ছিলো নিজেদের। খরায় সেটি শুকিয়ে কুয়োর তলদেশ পাথরের মতো শক্ত হয়ে পড়ে আছে। তিনি ও