Hafizul Islam

littleness কিংবা ক্ষুদ্রতা শব্দটির সাথে আমার পরিচয় যেভাবে

ক্ষুদ্র শব্দটির সাথে আমার সত্যিকারের পরিচয় হয় ২০০০ সালের কোন এক ভরদুপুরে। সেদিন বাস অ্যাক্সিডেন্টে আমার সবচে প্রিয়জন, বড় মামার মৃত্যু হয়। লাশকাটা ঘর আমি সেদিনই প্রথম দেখি। মামার মৃত্যুর খবর আমাদের পরিবারের জন্য অনেক বড় একটি আঘাত হিসেবে এসেছিলো। সেই সময়ের ক্ষত এখনো কাটে নি বলেই আমার মনে হয়। নারায়নগঞ্জ সরকারি মর্গের লাশকাটা ঘরের

before-accident-journal-imhafiz

সেদিন বিকালে এ্যাক্সিডেন্টের ঠিক আগমুহুর্তে আমি যা ভাবছিলাম

রাজধানীর কাফরুলে শনিবার বিকালে এক সড়ক দূর্ঘটনায় অজ্ঞাতনামা যুবক আহত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাস্তার মোড় ঘুরতে গিয়ে একটি স্কুটার ফুটপাতে উঠে সেই যুবককে ধাক্কা দেয়। স্কুটারের চালক ও তার সহযাত্রী প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সুস্থ হলেও যুবকের অবস্থা শংকাজনক। এমন একটি সংবাদ আইটেম হতে হতেও বেঁচে গেছি আমি। কারণ, স্কুটারটা শেষ পর্যন্ত আমাকে খুবই কাছ দিয়ে পাশ

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকের সাথে বেনামী আলাপ

-হ্যালো.. -জ্বী বলুন.. -আমি নীরব বলছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলছেন? -জ্বি বলছি..।  -আমি কি একটু কথা বলতে পারবো? -জ্বি বলুন -আমি আপনাদের সাথে কাজ করতে চাইছি। আরিভার ফান্ডিং নিয়ে। আমি কি পারবো আপনাদের সাথে যুক্ত হতে? -জ্বি পারবেন। আজকে চলে আসুন শাহবাগে। পাবলিক লাইব্রেরীর সামনে। -আপনাকে চিনবো কীভাবে? আমি অবশ্য পাঞ্জাবী পড়া থাকবো। -আমাকে ফোন

কর্ণফুলিতে অপার্থিব সন্ধ্যা এবং একটি চলমান পেইন্টিংয়ের ড্রাফট

কখন কোথাও যাওয়া হবে আমার, এই ব্যাপারটাকে এখনো স্থির করে উঠতে পারি নি। পরিকল্পনা করে কিছু করতে গেলেই ফেঁসে যায় প্ল্যান। তাই, সে চেষ্টা বাদ দিয়ে এখন হুট করে চলে যাওয়ার চেষ্টা করি। তেমন করেই এবার কাপ্তাইয়ে যাওয়া। এবারের উদ্দেশ্য কর্ণফুলীতে কায়াকিং করা এবং সম্ভব হলে কাপ্তাইয়ে টুকটাক ঘুরাঘুরি। আমি, অন্তরা, মনির, মহিমা এবং মেহেদী

নির্ণিমেষ দৃষ্টির একজন বৃদ্ধ ও বারান্দার গ্রীলে জমাট নীরবতা

হঠাৎ মারা গেলেন আমার পাশের বাসার এক বৃদ্ধ। পরিবারের সদস্যদের হাহাকার-কান্নায় জানা গেলো সে খবর। আমি যে এলাকায় থাকি, সেটা অনেকটা গ্রাম। শহরতলী বললেই বোধহয় শব্দটা লাগসই হয়। এখানের চারপাশ, বাজার-ঘাট, মানুষ, রাত-দিন সবকিছুই শহুরে তাড়াহুড়ো মুক্ত এবং কিছুটা বেশি অর্গানিক! তাই, কারো মৃত্যুতে এখানে ভদ্রতার বাইরে গিয়ে হাউমাউ কেঁদে ওঠা সহজ। যে বৃদ্ধটি মারা

বিরুপাক্ষের গেরুয়া সন্ন্যাসী ও পৌরানিক ট্রেইলে যাত্রা

“মৃত্যু নহে বিচ্ছেদ চির মিলনের দ্বার” পাহাড়ি পথ আমার সবসময় ভালো লাগে। সরু ফিতের মতো চলে যাওয়া ট্রেইলে, পায়ে পায়ে আমি ঢুকে যেতে থাকি নৈঃশব্দের বাড়িতে। শহুরে ব্যস্ততা কিংবা কোলাহল এখানে ক্রমেই তাল হারায়। একসারিতে হেঁটে চলা আরো আরো শান্ত সময়ের পানে। এমনই এক ট্রেইলে হেঁটেছি এই সেদিন। অল্টিচ্যুড আউটডোর এক্টিভিটিস ( Altitude – outdoor activities ) এর

ভিজিটিং প্রিজনার্সে শান্তির ১ টি দিন

আমরা যখন জয়দেবপুর, শিববাড়ি পৌঁছলাম, তখন সন্ধ্যা পেরিয়ে গেছে। আমি, শান, মুনির আমরা ৩ জন ঢাকার বিরক্তিকর জ্যাম আর গরমে সেদ্ধ হয়ে রাজবাগান এসেছি আশফাক ভাইয়ের দাওয়াতে। ভিজিটিং প্রিজনার্স নামে অভিনব পাবলিক ইভেন্ট ওপেন করে আমাদের দাওয়াত করেছেন তিনি। দারুন সুন্দর চারপাশ দেখতে দেখতেই সন্ধ্যার পথে আমরা ঢুকলাম বাসায়। চারদিকে দেয়াল দেয়া গাছপালায় ভরপুর, একতলা

রোজ তার সাথে আমার মোলাকাত হয়

রোজ তার সাথে আমার মোলাকাত হয় ভেতর বাহির সদর অন্দরে কখনো বিশ্বাস আবার কখনো সংশয় আমাদের মাঝে নিত্য বিনিময় হয়..। আয়নায় আমার পাশে দাঁড়ায় সে ঘুমোতে গেলে বালিশে মাথা রাখে একসাথে প্রতি পদবিক্ষেপে অহেতুক বিদ্রোহ তার সাথে আমার এভাবেই মোলাকাত হয়..। রুপোর থালার মতো চকচকে ভোর কিংবা নাক্ষত্রিক নিজঝুম রাতে আমাদের অবসর মেলে.. তখন অন্ধকারে