Hafizul Islam

চারহাতি মোয়া হাতে রহস্যময় শাজাহান কাকু ও তার হঠাৎ হারিয়ে যাওয়ার দিন

রান্নাঘরের শেলফে মুড়ির মোয়া দিয়ে বানানো চারকোনা আকৃতির বিশাল সাইজের সন্দেশের মতো কিছু একটা দেখে সেদিন আমি চমকে উঠেছিলাম। এর আগে কখনো এতো বড় মোয়া দেখার সুযোগ হয় নি আমার। মায়ের কাছে জানতে চাইলাম। মা বললেন, এটা নাকি মোয়ার সন্দেশ। আমি তখন অবাক হয়েছিলাম এটা ভেবে যে, মোয়ার আবার সন্দেশও হয় নাকি! অদ্ভূত সন্দেশটি ভোলার

আমি গিট্টুর ভাই ‘বলা’ বলছি!

চিটাগাং থেকে বাবার পোষ্টিং তখন ঢাকার সদরঘাট ফায়ার সার্ভিসে। কোয়ার্টার ছেড়ে দিয়ে আমরা উঠেছি নিজেদের গ্রামের বাড়িতে। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়াতে। শৈশবের প্রথম থেকেই আমি বেড়ে উঠেছি শহুরে পরিবেশে। গ্রামের আবহাওয়া, মানুষজন, মাটির নিকানো উঠোন, গরু-মুরগীর হাঁকডাক ইত্যাদিতে তখনো অভ্যস্ত হতে পারি নি। এমনিতেও অবশ্য বুদ্ধিশুদ্ধি কিছুটা কমই আমার। সেকারণেই বোধকরি, সবার কথা ঠিকমতো বুঝতে সময় লেগে

কৈশোরের প্রিয় চরিত্র..বর্ণহীন বর্তমানে আমার ভালোথাকার বন্ধুরা

ছোটবেলায় সিনেমার হিরো, স্যুপারম্যান,বেন টেন কিংবা অসমসাহসী সিন্দাবাদ হতে চায় নি,এমন কাউকে পাওয়া যাবে না,একথা প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা চলে।শৈশব-কৈশোরে পরিচিত হওয়া বই-পত্র, সিনেমা কিংবা আমাদের প্রতিদিনের জীবনে থেকে উঠে আসা কিছু চরিত্র, অহর্ণীশ আমাদের হৃদয়ের অতলান্তিক গভীরতায় সযতনে আটকে থাকা আরশিতে ছাপ ফেলে যায়।

 নিজের অজান্তেই আমরা পথ চলি সেইসব প্রিয় চরিত্রগুলো সাথে। আমাদের মনোজগতকে আলোড়িত করা চরিত্রগুলো আমরা তুলে রাখি মনের গোপন বাকসে।ব্যস্ত এই ধাবমান সময়ে নিজেকে সময় দেয়ার মতো সময়ও যখন আমাদের থাকে না, তখন এই চরিত্রগুলো মনের রঙিন বাকসো থেকে বেরিয়ে আসে।পরম মমতায় হাত রাখে আমাদের হাতে।অবিরাম পথ চলার ক্লান্তি মুছে দেয়। আমরা আবার পথে নামি..। এমন কিছু চরিত্র নিয়ে লিখছি আজকে।