একটি ছবি সহস্র শব্দের সমপর্যায়ের গুরুত্ব বহন করে। শব্দের সীমাবদ্ধতাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার অভিপ্রায়ে ভিজ্যুয়াল আর্টের শুরুর সময় থেকেই মানুষ ছবির আশ্রয় নিয়েছে। আদিম গুহাচিত্রের যেসকল ছাঁপচিত্র আমরা দেখতে পাই, ভাষার অনুপস্থিতি থাকার পরও তখনকার অচেনা মানুষদের বার্তা আমাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। তারপর ধাপে ধাপে পেইন্টিং ফরম্যাটের বৈপ্লবিক সময় পার করে ফটোগ্রাফের ফরম্যাট জায়গা নিয়েছে ডকুমেন্টেশনের। সাদাকালো ফিল্মের পর এখনকার ডিজিটাল ফটোগ্রাফী বিস্তার লাভ করেছে ব্যপকভাবে। বিষয়ভিত্তিক ফটোগ্রাফির চর্চার সুবাদে সংবাদপত্র কিংবা সংবাদমাধ্যমের জন্য পৃথক ফটোগ্রাফি-শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফটোজার্ণালিজম বা ফটোসাংবাদিকতা।
ফটোজার্নালিজমের ক্ষেত্রে শুধু ছবিকেই যথেষ্ট মনে করা হয় না। প্রয়োজন হয় ছবির সংক্ষিপ্ত এবং কার্যকর একটি পরিচিতির। এই পরিচিতিকেই ক্যাপশন নামে ডাকা হয়। যদিও ক্যাপশন সব শাখার সব ধরণের ছবিরই হতে পারে। কিন্তু, ফটোসাংবাতিকতার ক্ষেত্রে অনেকাংশেই ছবির অবিচ্ছেদ্য অংশ বলা হয় ক্যাপশনকে। সংবাদের পাঠক জানতে চায় প্রকাশিত ছবির নির্ধারিত মেসেজ টি। যে মেসেজটি লেখক/সাংবাদিক দিতে চেয়েছেন। এমনকি সাংবাদিকের আবেগীয় অবস্থাও পাঠকের আগ্রহের বিষয় হয়ে থাকে।
খুব কম ছবিই আছে, যেগুলো ক্যাপশন ছাড়া সত্যিকারের কাঙিক্ষত অর্থ দিতে সক্ষম। যেহেতু সব ধরণের ছবিই একধরণের আইকনিক কিংবা চিহ্নভিত্তিক বার্তা বহন করে, সেহেতু সুনির্ধারিত মেসেজ দেয়ার প্রয়োজনে ছবিকে ক্যাপশনের সাহায্য নিতেই হয়।

ফটোগ্রাফিতে একই ছবি ভিন্ন ভিন্ন মানুষের কাছে ভিন্ন ভিন্ন অর্থ ধারণ করতে পারে। এটাই ফটোগ্রাফির নান্দনিক শক্তি। কিন্তু, ফটোজার্নালিজমে এই ভিন্নার্থক প্রবণতা বাধার সৃষ্টি করে। কাঙিক্ষত ফলাফল পাওয়ার ক্ষেত্রে এই শক্তিই বিভ্রম তৈরী করে। ক্যাপশন তখন সংবাদের অন্যতম সাহায্যকারী হয়ে দাঁড়ায়। আবার একইসাথে ছবি নিজেও সংবাদের ভ্যালু তৈরী করে। কালচারাল থিওরিস্ট ওয়াল্টার বেনজামিন বলেছেন, ক্যাপশনের ব্যবহার ছবির চলতি-অর্থকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে এমন অবস্থানে নিয়ে যায়, যেখানে ছবি তার আলংকরিক অর্থের বাইরেও সাধারণ পাঠকের জন্য গুরুত্ববহ অর্থ ধারণ করার উপযুক্ততা লাভ করে। আর, যখন ছবি শুধু সৌন্দর্যর বাহন না হয়ে অন্য অর্থ প্রদানে সমর্থ্য হয়, তখন তার মধ্যে অবশ্যই ভ্যালু খোঁজ করা যায়।

ছবির ক্যাপশন যোগাযোগের আদর্শিক ধারণার জায়গাতে সিম্বলিজম বা চিহ্নবাদকে উসকে দিয়ে ছবিকে শক্তিশালী উপসংহারে পৌঁছাতে সাহায্য করে। ২০ শতকের আইকনিক ছবি ডরোথিয়া ল্যাংজের ১৯৩৬ সালে তোলা মাইগ্র্যান্ট মাদার শিরোনামের ছবি, এডি এডামসের তোলা ভিয়েতকং বন্দিকে হত্যার ছবি, নিক উটসের নাপাম গার্ল ছবি, ম্যালকম ব্রাউনির বার্ণিং মঙ্ক শিরোনামের ছবিগুলোকে উদাহরণ হিসেবে নেয়া যায়। ছবিগুলো তাদের নিজস্ব ঐতিহাসিক মূল্য অর্জন করেছে এবং যথার্থ ক্যাপশন দেয়ার কারণে প্রয়োজনীয় তথ্যও পাওয়া সম্ভব হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ছবিগুলোর সিম্বলিক মিনিং তৈরীতে সহায়ক অনুষঙ্গও হয়ে উঠেছে ক্যাপশন।

ল্যাংজের ফটোগ্রাফটি বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী গ্রেট-ডিপ্রেশন পিরিয়ডকে তুলে ধরলেও একইসাথে এটি দারিদ্য এবং বিচারহীনতার কথাও বলে। সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারী ও শ্রেণীবৈষম্যের বিষয়টিও অর্থপূর্ণভাবে উঠে আসছে তার ছবিতে। কখনো পাঠক এবং দর্শকের চোখে ম্যাডোনা ও শিশুর সিম্বলিক রিপ্রেজেন্টেশন হিসেবেও ছবিটি গুরুত্ব পেয়ে থাকে।

সংবাদের ছবি নির্ধারিত ঘটনার খতিয়ানসহ ইতিহাসের অংশে পরিণত হয়। এই বিষয়টি মনে রাখলে আমরা সহজেই ক্যাপশনের গুরুত্ব বুঝতে পারি। ঐতিহাসিক স্মৃতিতে যেনো কখনোই কোন অসম্পূর্ণ কিংবা অব্যাখ্যাত কিছু না জমা হয়, সংবাদের মানুষ হিসেবে ব্যপারটি নিয়ে সতর্ক থাকা উচিত সংবাদকর্মীদের- বিশেষ করে ফটোসাংবাদিকদের। সবসময় আশা করা হয় ফটোসাংবাদিক যথাযোগ্য ক্যাপশন প্রদান করবে। প্রয়োজনে ক্যাপশনের বাইরেও তার ছবির বিষয় এবং দরকার অনুসারে আরো কিছু ডিটেইল ইনফরমেশন তাকে সরবরাহ করতে হতে পারে।
কিন্তু, ফটোসাংবাদিক ক্যাপশন দেয়ার পরেও ছবি বিষয়ে ভুল বুঝার অবকাশ থেকেই যায়। এবং, প্রকাশনার টেবিলে গিয়ে ছবির ভুল উপাস্থাপনাও হয়ে থাকে কখনো কখনো। কখনো এই ভুল হয় তাৎক্ষণিকতার উত্তাপের কারণে। আবার কখনো হয় স্টোরি প্রকাশের তাড়া থাকার ফলে। বর্তমান ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে যথাসম্ভব বেশি হিট পাওয়ার আকাঙক্ষা, পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ ইত্যাদির কারণে এমন ভুল হয়ে যায়। যেমন গতবছর সিরিয়ান রিফিউজি বিষয়ক একটি ছবিকে সিএনএনের সংবাদপাঠক ভুলভাবে টুইট করেছিলেন।

২০১৪ এর ফেব্রুয়ারিতে ইউএনসিএইচআর মারওয়ান নামের একটি সিরিয়ান রিফিউজি শিশুর ছবি টুইট করে। ক্যাপশন ছিলো, মারওয়ান তার পরিবার থেকে সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়। এবং সিএনএন এর আন্তর্জাতিক এ্যাংকর ছবিটি রিটুইট করে। তিনি ক্যাপশন লিখেছিলেন, জাতিসংঘ কর্মীরা ৪ বছর বয়সী মারওয়ান নামের একটি শিশুকে খুঁজে পেয়েছে। শিশুটি তার পরিবার থেকে পৃথক হয়ে যাওয়ার পর একা মরুভূমি পাড়ি দিয়েছে।
৪ বছর বয়সী একটি শিশুর একাকী মরুভূমি পাড়ি দেয়ার ভাবনাটি সমবেদনা ও সহমর্মিতার ঝড় তুলে টুইটারে। কিন্তু, যখন শিশুটির সম্পূর্ণ অবস্থাটি জানার পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। অন্য আরেকটি ছবিতে দেখা যায় বাচ্চাটি অন্যদের সাথে আছে এবং তারা আরেকটি বড় গ্রুপের সাথে পথ চলায় পেছনে পড়ে গিয়েছিলো কেবল। তখন টুইটারে নেটিজেনদের ভোল পাল্টে যায়। মারওয়ানের বিষয়টি নিয়ে ভুল উপস্থাপনার জন্য পাঠকের অবিশ্বাস এবং রাগের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিলো বলে গার্ডিয়ান একটি রিপোর্টে জানিয়েছিলো।

এই ইস্যুটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলো যে, ভুল ক্যাপশনের সাথে একটি ছবিও পাবলিক এ্যাটেনশন পেতে পারে। সিরিয়ান রিফিউজি সমস্যার পক্ষে ছবিটি ভূমিকা রাখলেও মিডিয়ার সত্য প্রকাশের সামর্থ্য নিয়ে তখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
গতবছর প্রকাশিত দ্যা এ্যানুয়াল গ্যালআপ সার্ভে নামক রিপোর্টে দেখা যায়, আমেরিকান জনগনের প্রতি ১০ জনের মাত্র ৪ জন সংবাদের উপর পুরোপুরি বিশ্বাস রাখে। অন্যরা মনে করে পুরোপুরি সত্য প্রকাশের সামর্থ্য নেই সংবাদমাধ্যমগুলোর। এই একই ধারাবাহিকতা চলে আসছে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও। এ্যাডেলমেন ট্রাস্ট ব্যারোমিটার নামক একটি বৈশ্বিক স্টাডিতে দেখা যায় ইউকে, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, ইন্ডিয়া এবং মেক্সিকোতে জনগন মিডিয়াকে এভাবেই বিশ্বাস করে থাকে।
ভুল ক্যাপশনের মধ্য দিয়ে ফটোগ্রাফের ভুল উপস্খাপন এই ডিজিটাল সময়ের ঘটনা না। হিউবার্ট ভ্যান ইজ এর তোলা ভিয়েতনাম যুদ্ধের ছবিকে আইকনিক ধরা হয়। ২০০৫ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয়তে লিখেন, ৩০ বছর আগে আমার তোলা ভিয়েতনাম যুদ্ধের একটি ছবি সার্বজনীন ছবি হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ছবিটি ছিলো সায়গন পতনের। ছবিটিতে দেখা যায় একটি আমেরিকান হেলিকপ্টার ইউনাইটেড স্টেটস এ্যাম্বাসির ছাদ থেকে মানুষদের উদ্ধার করছে। বেশ! আসলে অন্য অনেক বিষয়ের মতো ভিয়েতনাম যুদ্ধের অনেককিছুই যেমন দেখায়, বাস্তবে ঠিক তেমন ছিলো না। এই উদ্ধারকাজটি ঘটেছিলো সায়গন ডাউনটাউনের একটি এপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে, যেখানে সিআইএ কর্মীরা বসবাস করতো।

ভ্যান এ্যাজ বলেন, তিনি পরিষ্কারভাবে ক্যাপশনে লিখেছিলেন, হেলিকপ্টারটি ডাউনটাউন সায়গনের একটি বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে মানুষ উদ্ধার করছে। কিন্তু, তখনকার সময়ে সম্পাদকগণ ভালো করে ক্যাপশন পড়েন নি। তারা সহজেই ধরে নিয়েছেন যে, যেহেতু প্রধান উদ্ধারকাজটি এ্যাম্বাসিতে হচ্ছে, তাই এটাও এ্যাম্বাসির ছাদই হবে। এমনকি ২০১৩ সালেও এই ছবির সাথে ভুল ক্যাপশন ব্যবহার হতে দেখা গেছে। দ্যা ইকোনমিস্ট ছবিটি ব্যবহার করেছিলো তাদের এটি লিড স্টোরিতে। যেখানে বলা হয়, ছবিটি সায়গন পতনের সময়কালে একটি অফিসিয়াল বিল্ডিংয়ের ছাদের ছবি।

বৈশ্বিক সাংবাদিকতার ক্ষেত্রের বাইরে ভিন্ন এক ধরণের আন্দোলন কিংবা মতের প্রকাশও দেখা যায়। ক্যাপশন বিহীন ছবি ব্যবহার এই ধারণার প্রধান বক্তব্য। দৃক ফটো এজেন্সি, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ফটোসাংবাদিক শহীদুল আলম ক্রসফায়ার নামক একটি ফটো সিরিজ করেছিলেন। যেখানে তিনি বাংলাদেশ সরকারের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার প্রকাশ্যে ক্রসফায়ারিং ধারণাকে দৃশ্যায়নের চেষ্টা করেছেন।

ক্রসফায়ার সিরিজের ছবিগুলোতে এমনসব স্থানের ছবি তোলা হয়েছে, যেখানে হয় কেউ ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছে। অথবা সেখান থেকে হারিয়ে গেছে অব্যাখ্যাত উপায়ে। শহীদুল আলম বলেন, ছবিগুলোকে ইচ্ছাকৃতভাবেই বহু-অর্থ ধারণের উপযোগি করা হয়েছে। আমরা ছবিগুলোতে কোন ক্যাপশন দিই নি। কারণ, আমরা চাই না ছবিগুলো খুব সাধারণ কোন পাঠ কিংবা অর্থ তুলে ধরুক পাঠক/দর্শকের কাছে। আমরা চেয়েছি, দর্শক ছবিগুলোর অন্তর্নিহিত অর্থ খুঁজে বের করুক। ছবিগুলোর অন্তরালের লুকিয়ে থাকলে কেস হিস্টোরি গুলো আরো ব্যাপক মাত্রায় ধরা পড়ুক দর্শকের ভাবনা ও বোধের আঙিনায়।

একজন দর্শক হিসেবে আপনি মোটেও সাধারণ একজন অংশগ্রহণকারী নন। বরং আপনাকে এই সিরিজের ছবিগুলোর সাথে নিজের যুক্ততা খুঁজে বের করার কোন বিকল্প নেই। আমরা এইভাবেই দর্শককে নাড়া দিয়ে চেয়েছি। কারণ, আমাদের মনে হয়েছে, খুব সাধারণভাবে ছবিগুলো দেখে ফেলার কাজটি করে ফেলা কোনভাবেই যথেষ্ট নয়। ছবির গভীরে উঁকি দিয়ে দেখতে হবে। ছবির ভেতকার চিৎকার কিংবা কান্নার গল্প অনুভবের চেষ্টা এখানে কাম্য। ক্রসফায়ার নামক এই সিরিজটি দেশি ও বিদেশি পরিমন্ডলে ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেছিলো।

বর্তমানের ডিজিটাল সাংবাদিকতা একজন ফটোসাংবাদিককে তার নিজস্ব গল্প বলার সহজ সুযোগ করে দিচ্ছে। একইসাথে সঠিক ক্যাপশনের ব্যবহার দর্শককে আহ্বান করছে আরো ভালো করে সংবাদগল্পটি অনুধাবনের। যখন বেশিরভাগ পাঠক কর্পোরেট মিডিয়া থেকে বিমুখ হয়ে পড়ছে। সত্য সংবাদের জন্য স্যোশাল মিডিয়ার ফিড খুঁজছে, তখন সঠিক ক্যাপশনসহ ফটোগ্রাফ পাঠককে কিছুটা হলেও বিশ্বাসযোগ্যতার আশ্বাস দেবে।
ফটোগ্রাফির একটি নিজস্ব ইউনিভার্সাল ভাষা আছে। কিন্তু, যেহেতু সেই সিম্বলিক ল্যাংগুয়েজের অনুবাদ ক্ষে্ত্রটি স্বাধীন, সেহেতু পাঠকের কিংবা দর্শকের নিজস্ব কালচার অনুসারেই সে ছবিটির অন্তর্নিহিত বার্তার অনুবাদ করে নেবে। ক্যাপশন ব্যাতিত ছবিটি দর্শকের কাছে একটি পূর্ণাঙগ স্টোরিটেলিং জার্ণির সুযোগটি হারাবে। আপনি নিশ্চিত জানতে পারবেন না কখনোই, আসলে কী হবে। কিংবা, আপনার দর্শক-পাঠক কীভাবে অনুবাদ করবে ফটোগ্রাফটির। কিন্তু, আপনি চাইলে ফটোক্যাপশনের সাহায্যে একটি নিজস্ব সিন, ব্যক্তিগত একটি ডায়ালেক্ট তৈরী করে দিতে পারেন, যা আপনার ছবির ভেতর দিয়ে আপনার গল্পটিই বলবে।
রচনাটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ফটোজার্নালিজম কোর্সের একটি এসাইনমেন্ট হিসেবে তৈরী হয়েছে। লেখাটি অসম্পূর্ণতা কিংবা তাড়াহুড়োর দোষে দুষ্ট হয়ে থাকতে পারে। গঠনমূলক সমালোচনা সাদরে গৃহীত হবে। ব্যবহৃত ছবিগুলোর ফটোগ্রাফারদের নাম ছবির ক্যাপশনে উল্লেখ করা হয়েছে। ধন্যবাদ!
# তথ্য সহায়তা এবং ছবি কৃতজ্ঞতাঃ
১। দ্যা আই অফ ফটোগ্রাফি
২। মোমা
৩। দ্যা মডার্নমেট
৪। নিউইর্য়্ক টাইমস