Hafizul Islam

৯৮ এর বন্যায় নানুবাড়ি, মল চত্ত্বরে পড়ন্ত দুপুর, বাসন্তি রঙে আটকে থাকা সময়

১৯৯৮ এর বন্যায় থই থই পানিতে ডুবে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। চকিতে বসে ঘরের জানালা দিয়ে উঠানভর্তি পানি দেখি। বাতাসে জলের ঘ্রাণ। বিলের পাশে বাড়ি। হঠাৎ হঠাৎ দমকা বাতাস জলের উপর থিরথির নকশা কাটে। কোথাও যাওয়ার নেই। কিচ্ছু করার নেই। বাবার সরকারী চাকরির সুবাদে বেতনের টাকায় তখন দিন চলে যাচ্ছে। আমিরুল জ্যাঠা, রুকুদের বাড়িতে গোলাভর্তি

তাজরিয়ানের মৃত্যু নাকি নিজের তীব্রভাবে বেঁচে থাকতে না পারার শোক

তীব্র ভাবে বাঁচবো বলে লম্বা ম্যারাথানে নেমে পড়েছিলাম বহুদিন আগে। হয়তো সেকারণেই আমার কাছে মৃত্যু অনেক আরাধ্য। মৃত্যুকে আমি পার্টিশনের মতো মনে করি। ছোটবেলায় ঘরের মধ্যে ঘর বানাতে নানুবাড়িতে বোর্ডের দেয়াল তৈরি হয়েছিলো। এপাশ থেকে ওপাশে দেখা যেতো না। কিন্তু, শব্দ আসতো, কথা, হাসির, কান্নার কিংবা অন্ধকারের। মৃত্যু আমার কাছে তেমনই। সময়ের বিস্তৃতি থেকে খাবলা

সংবাদের জমিন বিক্রির ডিজিট-আল ফান্ডা

পেশায় সংবাদকর্মী বললেও আমি মূলত সংবাদ বেচে খাই। দিনরাত শিফট-ডিউটি রোস্টারের চক্করে ঘুরতে ঘুরতে যেসব নিউজ তৈরি করি, সেটার লক্ষ্য সংবাদের লক্ষ্যের চাইতেও গুরুতর। দুই চারটা পয়সা কামানো। জন্মলগ্ন থেকে সংবাদ মাধ্যম অথবা গণমাধ্যম আয়-রোজগারের টুলস ছিলো না। কিন্তু, সময়ের সাথে পাল্টেছে ধরণ। তৈরি হয়েছে উপযোগিতা। সংবাদ বিক্রি মোটেও মন্দ কিছু না। বরং, সংবাদ একইসাথে

ইতি অবন্তিকা কিংবা নিজের জন্য লেখা কৈফিয়ত

“ভাই, মেয়েটার নিশ্চয়ই কোনো ঝামেলা আছে। ভিতরে ভিতরে কিছু হইছে। সামলাইতে পারে নাই। আ ত্ম হ ত্যা করছে। ম রে গেছে দেখে এখন ছেলেটা ফাঁসছে। খোঁজ নিয়া দ্যাখেন, কী কী বাইর হয়।” এটা ছিলো আজকে একজনের কাছ থেকে শোনা ডায়লগ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। উপরের মন্তব্য তাকে নিয়েই করা। অবন্তিকার

“টাকা জমানোর চেয়ে দ্রুত গতিতে ছড়ায় ক্যান্সার”

“টাকা জমানোর চেয়ে দ্রুত গতিতে ছড়ায় ক্যান্সার; লেবাননে আমার রোজগারে মাকে বাঁচাতে পারছি না” লেবাননে, একজন মায়ের ক্যান্সারের চিকিৎসায় প্রতি ৩ সপ্তাহে দরকার ৭ হাজার ডলার। এই অর্থ জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে সন্তান আপনার টাকার মূল্য কতো? আল জাজিরার এই সিরিজে জীবন-যাপনের খরচ মেটাতে সংকটে থাকা কিছু মানুষের মাসিক খরচের খতিয়ান। এই পর্বের অতিথির নাম

my-last-day-at-jamuna-television

৩০ নভেম্বর ২০২৩, যমুনা টেলিভিশনে আমার শেষদিন

যমুনা টেলিভিশনে আমার শেষ অফিস ছিলো ৩০ নভেম্বর ২০২৩। ৬ মাস টিকতে পারবো কিনা এই আশংকা নিয়ে যাত্রা শুরু। তারপর, কীভাবে কীভাবে যেনো এক মাস, দুই মাস করে করে ৩ টা ৬ মাস কেটে গেছে। ছোটবেলা থেকেই আমি বাড়ির বাইরে হোস্টেলে বড় হয়েছি। মায়া কিংবা পিছুটান সামলে নেয়ার অভ্যাস আছে। তারপরও কেনো যেনো মন ভার

কইন্যা’র হাসিমুখ আর ছোট্ট মাকানের জন্য ফৌজি জওয়ানের প্রতীক্ষা

ট্রেনে করে কোলকাতা থেকে ফিরছি বাংলাদেশে। ইন্ডিয়া অংশের বর্ডার গেদে। নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে কোলকাতা থেকে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে পুলিশের একটি বিশেষ শাখা আরপিএফ এর একদল সদস্য। বগি থেকে বগিতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাদের অনেকে। কখনো দরকার মনে করলে কাউকে হয়তো কিছু জিজ্ঞাসা করছেন। ট্রেন চলছে ঢিমেতালে। আমার পাশের সিটে কোন যাত্রী নেই। ট্রেনের মন্থর গতি আর ঝিকঝিক

মেয়ে, আমি এখনো তোমার জন্য নিরাপদ বন্ধু আছি কি?

আইরিন আমার প্রথম মেয়ে বন্ধু। তখন বয়স ৫ এর কোটা পেরোয়নি। চিটাগাংয়ে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সরকারি কোয়ার্টারে আমাদের বাসা। পাশের ফ্ল্যাটে থাকতো আইরিনরা। ওরা খুব সম্ভবত ২ বোন। আইরিন বড়। কীভাবে আমরা বন্ধু হয়েছিলাম, কখন কবে ওদের সাথে আমার পরিচয়, এতো বছর পরে এসে ইচ্ছা করলেও আর মনে করতে পারি না। মেয়ে বন্ধু আলাদা কিছু,