Hafizul Islam

অসমাপ্ত আত্মজীবনী; একজন শেরপার সংক্ষিপ্ত উপাখ্যান (বুক রিভিউ)

“বন্ধুবান্ধবরা বলে তোমার জীবনী লেখো। সহকর্মীরা বলে রাজনৈতিক জীবনের কাহিনীগুলো লিখে রাখো, কাজে লাগবে।” এভাবেই শুরু হয়েছে এই অসমাপ্ত আত্মজীবনী। মধুমতি তীরের জনপদ থেকে উঠে আসা একজন মানুষের গল্প, একজন রাষ্ট্রনায়কের আত্মজীবনী তার বংশীয় পরিচয় এবং নাটকীয় কথনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় পাঠকের যাত্রা।  প্রথমেই যে প্রশ্নটি চলে এসেছিলো, বইটি কি আদৌ শেখ মুজিবুর রাহমানের

আলবেয়ার কামু’র দ্য আউটসাইডার অথবা দ্য স্ট্রেঞ্জার এর রিভিউ

= প্রকৃত নাম: লেত্রঁজে = মূল ভাষা: ফরাসি = লেখার সময় ও স্থান: ৪০এর দশক, ফ্রান্স = প্রকাশের সময় ও প্রকাশক: ১৯৪২, লাইব্রেরি গালিমার্দ = সাহিত্যের প্রকার: উপন্যাস = লেখার ধরণ: অস্তিত্ববাদী, অপরাধ বিষয়ক লেখা = লেখার পটভূমি: আলজেরিয়া, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কিছু পূর্বে লেত্রঁজে (L’Étranger) বা ল্যা-এস্রানজার, নোবেল বিজয়ী ফরাসি সাহিত্যিক আলবেয়ার কামু’র সবচেয়ে বিখ্যাত

বাংলাদেশি বাঙ্গালির সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য ও আমাদের সাংস্কৃতিক সংকট

একটি দেশের সংস্কৃতি সেই জাতির পরিচয় বহন করে। জাতিগতভাবে বাংলাদেশের একটি নিজস্ব সংস্কৃতি আছে। সেটাই আমাদের পরিচয়। সংস্কৃতি মানুষকে পরিবর্তন করে, না মানুষ সংস্কৃতিকে পরিবর্তন করে, এ নিয়ে ব্যাপক ধোঁয়াশা থাকলেও। এ কথা সবাই মানতে বাধ্য মানুষ এবং সংস্কৃতি সহ অবস্থান করে। সে ক্ষেত্রে সংস্কৃতি মানুষের উপর কতক প্রভাব ফেলতে পারে, আবার মানুষ সংস্কৃতির উপর

নির্ণিমেষ দৃষ্টির একজন বৃদ্ধ ও বারান্দার গ্রীলে জমাট নীরবতা

হঠাৎ মারা গেলেন আমার পাশের বাসার এক বৃদ্ধ। পরিবারের সদস্যদের হাহাকার-কান্নায় জানা গেলো সে খবর। আমি যে এলাকায় থাকি, সেটা অনেকটা গ্রাম। শহরতলী বললেই বোধহয় শব্দটা লাগসই হয়। এখানের চারপাশ, বাজার-ঘাট, মানুষ, রাত-দিন সবকিছুই শহুরে তাড়াহুড়ো মুক্ত এবং কিছুটা বেশি অর্গানিক! তাই, কারো মৃত্যুতে এখানে ভদ্রতার বাইরে গিয়ে হাউমাউ কেঁদে ওঠা সহজ। যে বৃদ্ধটি মারা

বিরুপাক্ষের গেরুয়া সন্ন্যাসী ও পৌরানিক ট্রেইলে যাত্রা

“মৃত্যু নহে বিচ্ছেদ চির মিলনের দ্বার” পাহাড়ি পথ আমার সবসময় ভালো লাগে। সরু ফিতের মতো চলে যাওয়া ট্রেইলে, পায়ে পায়ে আমি ঢুকে যেতে থাকি নৈঃশব্দের বাড়িতে। শহুরে ব্যস্ততা কিংবা কোলাহল এখানে ক্রমেই তাল হারায়। একসারিতে হেঁটে চলা আরো আরো শান্ত সময়ের পানে। এমনই এক ট্রেইলে হেঁটেছি এই সেদিন। অল্টিচ্যুড আউটডোর এক্টিভিটিস ( Altitude – outdoor activities ) এর

গল্পের হকার = গল্পকার

এই গল্পটা অমিয়র।ওর সাথে আমার দেখা হয়েছিলো ভার্সিটিতে। একদিন চায়ের আড্ডায় দারুন স্বতঃস্ফূর্ততা নিয়ে একজনকে কথা বলতে দেখে অবাক হওয়ার পাশাপাশি ভালো লাগলো। শাহজাদা আর শাহেরজাদীর গল্প চলছিলো সেদিনের তপ্ত দুপুরে। ফোরজি জেনারেশনকে হাজার রাতের আলিফ লায়লার কাহিনী শোনানোর মতো সাহস ক’জনের হয়…। সেই থেকে শুরু..। ক্যাম্পাসের এখানে সেখানে, চায়ের গোলমহল কিংবা মুক্তমঞ্চে, কারণে অকারণে

ভিজিটিং প্রিজনার্সে শান্তির ১ টি দিন

আমরা যখন জয়দেবপুর, শিববাড়ি পৌঁছলাম, তখন সন্ধ্যা পেরিয়ে গেছে। আমি, শান, মুনির আমরা ৩ জন ঢাকার বিরক্তিকর জ্যাম আর গরমে সেদ্ধ হয়ে রাজবাগান এসেছি আশফাক ভাইয়ের দাওয়াতে। ভিজিটিং প্রিজনার্স নামে অভিনব পাবলিক ইভেন্ট ওপেন করে আমাদের দাওয়াত করেছেন তিনি। দারুন সুন্দর চারপাশ দেখতে দেখতেই সন্ধ্যার পথে আমরা ঢুকলাম বাসায়। চারদিকে দেয়াল দেয়া গাছপালায় ভরপুর, একতলা

ভালোবাসা শব্দের অনুবাদ কিংবা অন্তরার জন্য অগোছালো প্যারাগ্রাফ

ভালোবাসি শব্দের সাথে আমার প্রথম পরিচয় হয় গ্রামের বাড়িতে। আমরা তখন সদ্য চিটাগাং থেকে বাড়িতে শিফট হয়েছি। বাবার সরকারী চাকরীর সুবাদে এমন জায়গাবদল আমার জন্মের পর এ’নিয়ে তিনবার হলো। একদিন স্কুল থেকে ফিরতে শুনলাম সবাই বলাবলি করছে, পাশের পাড়ার  বারেক কাকার মেয়ে ‘স্মৃতি’ , এসিড দিয়ে শরীর পুড়িয়ে ফেলেছে। কিছু না বুঝেই সবার সাথে দেখতে