Hafizul Islam

একটি প্রেমের কবিতা লিখবো বলে

একটা প্রেমের কবিতার জন্য আমি
পাড়ি দিয়ে এসেছি সাত সমুদ্দুরের পথ
নিশ্চল দাঁড়িয়ে থেকেছি
জোৎস্নালোকিত পর্বতের রুক্ষ চাতালে..
দেখেছি নক্ষত্রের হেঁটে চলা
ক্রমাগত কোন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে
কিন্তু
আমি পাই নি দেখা কোন প্রেমের কবিতার..
রাতারগুলের সোয়াম্প ফরেষ্ট কিংবা কানাডার বিস্তৃর্ণ প্রেইরীতে
আমি প্রতীক্ষায় থেকেছি..

প্রিন্ট মিডিয়ায় ক্যারিয়ার ধারণা এবং আমাদের করণীয়

বিশ্বায়ণের এই ব্যস্ত সময়ে আমাদের সকল পড়া-শোনা কিংবা শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য থাকে , ঝলমলে একটি পেশায় ক্যারিয়ার গঠন। যে কোনো তরুণ তরুণীই সব সময় উৎসুক থাকেন নতুন এবং সর্বোত্তম কোন সুযোগ কিংবা স্কোপের অপেক্ষায়। মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা চিন্তা করেন,  কোন পেশায় গেলে ভবিষ্যৎ হবে উজ্জ্বল ও সম্ভাবনাময়। চ্যালেঞ্জিং পেশা হিসাবে বর্তমান সময় প্রিন্ট মিডিয়াতে তারুণ্যের আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। সাংবাদিকতার কাজের ধরণ এবং ক্ষেত্র বিস্তৃত হচ্ছে ক্রমশঃ। এরই ধারাবাহিকতায় প্রিন্ট মিডিয়া এখন অন্যতম শাইনিং সেক্টর। প্রিন্ট মিডিয়া বা সংবাদপত্রে ক্যারিয়ার গড়ার প্রস্তুতি পর্ব এবং এ মিডিয়ায় কাজ করার আনন্দ ইত্যাদি নিয়ে লেখার চেষ্টা করছি আজকের পর্বে।

যে কোনো পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে হলে সে পেশা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা জরুরি। সংবাদপত্রে যারা কাজ করতে আগ্রহী তাদের এ মিডিয়ার বিভিন্ন দিকের ওপর যথেষ্ট পড়াশোনা করে তবেই আসা উচিত।
যারা সাংবাদিকতায় হাতে খড়ি দিতে চান তাদের জেনে রাখা ভালো যে, ইচ্ছে করলেই আপনিও একজন সাংবাদিক হতে পারবেন কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে এগুতে পারলে। শুরুটা কন্ট্রিবিউটিং দিয়ে; পর্যায়ক্রমে রিপোর্টার কিংবা ফটোজার্নালিস্ট এমনকি এক সময় পত্রিকার সম্পাদকও হওয়া যায়। তবে দেখার বিষয় হলো- আপনি সাংবাদিকতার কোন দিকটা পছন্দ করেন। ছবি তুলতে ভালো লাগলে কিংবা আগ্রহ থাকলে হতে পারেন ফটোজার্নালিস্ট। লেখালেখিতে হাত থাকলে কন্ট্রিবিউটিং দিয়ে শুরু করতে পারেন, পরবর্তীতে হতে পারেন রিপোর্টার।

দ্য ঢাকা নিউজ ও ঢাকা প্রকাশ ; ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম খবরের কাগজ

দ্য ঢাকা নিউজ , প্রকাশিত হয় ১৮৫৬ সালের ১৮ই এপ্রিল। মাত্র এক পৃষ্ঠার ইংরেজি সাপ্তাহিক। দাম দুই আনা। বের হতো প্রতি শনিবার। ত্রয়োদশ সংখ্যার পর পৃষ্ঠাসংখ্যা বাড়িয়ে করা হয় চার। আরো কিছু পরে (সম্ভবত ২য় বর্ষ থেকে) এটাকে আট পৃষ্ঠার করা হয়। ছাপা হতো ঢাকা প্রেসে।
ঢাকা প্রেসই ছিল সম্ভবত ঢাকা শহরের প্রথম মুদ্রণ যন্ত্র। অবশ্য এ নিয়ে ভিন্ন মতও আছে। অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন তাঁর ‘উনিশ শতকে ঢাকার মুদ্রণ ও প্রকাশনা’ বইতে ইস্ট বেঙ্গল মিশনারি সোসাইটির একটি রিপোর্টের ছবি ছেপেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে সেটি ১৮৪৯ সালে বড় কাটরা ছাপাখানা থেকে মুদ্রিত। এ থেকে অধ্যাপক মামুন মনে করেন, ১৮৫৬ সালের আগেও ঢাকাতে ছাপাখানা ছিল। অবিভক্ত বাংলায় প্রথম মুদ্রণ যন্ত্র বসে কলকাতায়। পূর্ব বাংলায় প্রথম মুদ্রণ যন্ত্রটি কিন্তু ঢাকায় বসেনি। যতদূর জানা যায়, ১৮৪৭ সালের আগস্টে রংপুরে একটি মুদ্রণ যন্ত্র বসানো হয়েছিল এবং সেখান থেকে ‘রংপুর বার্তাবহ’ নামে একটি সাপ্তাহিক সংবাদপত্র প্রকাশ করা হতো।

ছিটমহল; বঞ্চনা আর পরাধীনতার অন্য এক অধ্যায়

ছিটমহল  বাংলাদেশ ও ভারতের একদেশের সীমানার সম্পূর্ণ ভেতরে বিচ্ছিন্নভাবে থেকে যাওয়া অন্যদেশের ভূখন্ড। বাংলাদেশ ও ভারতের ইতিহাস ও ভূগোলের সাথে মিশে আছে ছিটমহল সমস্যা। ভারত বিভক্ত হওয়ার পূর্বমুহূর্তে, মাউন্টব্যাটেন-পরিকল্পনা মাফিক (৩ জুন ১৯৪৭) বাংলা ও পাঞ্জাবকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ভাগ করার জন্য গঠিত একটি সীমানা কমিশনের নেতা হিসেবে নিযুক্ত হন স্যার র‌্যাডক্লিফ।

স্বাধীনতা ঘোষণার সময় তৎকালীন পরিস্থিতিতে জরুরিভিত্তিতে এবং দ্রুততার সাথে র‌্যাডক্লিফকে সীমানা চিহ্নিতকরণের কাজটি সম্পন্ন করতে হয়েছিল। কার্যত এ কাজ মাত্র ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পন্ন হয়। স্যার র‌্যাডক্লিফ জুলাইয়ের ৮ তারিখে লন্ডন থেকে দিল্লিতে পৌঁছেন এবং আগস্টের ১৩ তারিখে তাঁর রিপোর্ট পেশ করেন। দীর্ঘকালের যোগাযোগ ব্যবস্থা, সমন্বিত অর্থনীতি ও স্থিতিসম্পন্ন অখন্ড এলাকার মাঝ বরাবর সানন্দে দাগ টেনে দেওয়া হয়।

ফলে দুই নতুন সার্বভৌম দেশের সীমারেখার এপারে ওপারে, ব্রিটিশ-ভারতের পূর্ব-পশ্চিম এ দু অঞ্চলের দুটি প্রদেশ বাংলা ও পাঞ্জাব, প্রত্যেকটি বিভক্ত হয়ে পড়ে। ১৬ আগস্ট সীমারেখা নির্ধারণী টপো-শিটের মূলকপি জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়। এ রায় যে বিতর্কের বিষয় হবে তা কমিশনের কাছেও ছিল নিশ্চিত এবং অনিবার্যতই অবিচার ও দুর্ভোগ এড়ানো যায় নি। কাগজে সীমানা যেভাবেই দাগানো হোক, মৌজা ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক, এমনকি পারিবারিক বা গোষ্ঠীগত কারণে এবং জমি-জমার মানচিত্রে অসঙ্গতির কারণে বহু স্থানেই র‌্যাডক্লিফ যেভাবে দাগিয়েছেন, বাস্তবে সীমানা সেভাবে নির্ধারিত হওয়া সম্ভব ছিল না।

মোনাজাত উদ্দীন, একজন কিংবদন্তির সাংবাদিক

মোনাজাত উদ্দিন, বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জগতের একটি স্মরণীয় নাম। শুধু সাংবাদিক নন তিনি নিজেই হয়ে উঠেছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান।  তিনি ছিলেন তৃণমূল মানুষের সংবাদ কর্মী, ছিলেন জনগণের সাংবাদিক । খবরের অন্তরালে যে সব খবর লুকিয়ে থাকে তিনি ছিলেন সেই সব তথ্যানুসন্ধানের নেপথ্যের মানুষ। রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে তিনি নতুন মাত্রা যোগ করেছিলেন দেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে।

[themeum_button size=”lg” type=”success” url=”http://www.mediafire.com/download/449t3ei37ta2arg/monajatuddin_rachanasamagra_01.pdf”  text=”মোনাজাত উদ্দিন রচনাসমগ্র – ১ম খন্ড । ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন”]

গ্রামে গঞ্জে, পথ থেকে পথে ঘুরে ঘুরে এই তথ্যানুসন্ধানী সংবাদকর্মী তাঁর সাংবাদিক জীবনে নানা মাত্রিকতার রিপোর্ট করেছেন। পাশাপাশি লিখেছেন জীবনের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ নানা ঘটনা। তিনি তাঁর কর্মের মাধ্যমেই অমর হয়ে থাকবেন আমাদের হৃদয়ের মণিকোঠায়।

রংপুরের কৃতি সন্তান, রংপুরে গর্ব চারণ সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিনের নাম স্মরণীয় হয়ে থাকবে রংপুরের প্রথম দৈনিক পত্রিকা ‘দৈনিক রংপুর’ এর প্রকাশক ও সম্পাদক হিসেবে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের মার্চে স্বাধীন চিন্তা, বিশ্বাস আর আদর্শের ভিত্তিতে প্রকাশ করেন ‘দৈনিক রংপুর’। শুধুমাত্র স্থানীয় সংবাদের ভিত্তিতে তিনি এই পত্রিকাটি বের করার চিন্তা করেন। ‘দৈনিক রংপুর’ ছিল মিনি সাইজের পত্রিকা, দাম মাত্র পাঁচ পয়সা। মোনাজাত উদ্দিন ছিলেন এর সম্পাদক-প্রকাশক। পত্রিকাটি প্রকাশের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করতেন একজন স্থানীয় ব্যবসায়ী। বাহ্যিকভাবে সেই ব্যবসায়ী সৎ মনে হলেও, প্রকৃতপক্ষে তিনি ছিলেন একজন অসৎ ব্যবসায়ী। যে কারণে তাঁর সঙ্গে মোনাজাত উদ্দিনের সম্পর্কের ইতি ঘটে। অবধারিতভাবেই এই পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু লেখালেখির সাথে তাঁর বিচ্ছেদ ঘটেনি মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত।

এডওয়ার্ড সায়িদ, একজন মুক্তমনের মানুষ ও দুরন্ত সাহসী মহীরুহ

গত শতকের অস্থির, দ্রুত পরিবর্তনমুখী বুদ্ধিবৃত্তিক আবহে এডওয়ার্ড সাঈদ ছিলেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সৃষ্টিশীল চিন্তাবিদদের একজন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, বিশেষত ষাট ও সত্তরের দশকে সকল ধরনের ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের কাছে আনতে অসম্ভব একটা মানব-বিশ্বে সাঈদের আবির্ভাব প্রচণ্ড আলোড়নের মতো, যা নাড়িয়ে দেয় পশ্চিমের সাংস্কৃতিক প্রভাবনের সূত্রে অর্জিত ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের মূল-ভিত্তির কৃত্রিম গ্রন্থিগুলো খুলে খুলে দেখায় এবং এভাবে অনুন্নত অঞ্চলগুলোর, বিশেষ করে প্রাক্তন উপনিবেশিত দেশসমূহের মানুষদের চিন্তাভঙ্গির দীর্ঘকালীন উপনিবেশিক-অনুবর্তনের মধ্যে সূচিত করে অবমুক্তি ও বিকাশের তীব্র সম্ভাবনা। সাহিত্যের ছাত্র ও অধ্যাপক হয়েও আর্থ-রাজনৈতিক, সামাজিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সকল কর্তৃত্বকেই তিনি চিহ্নিত করেন, বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে আক্রমণ করেন, তার স্বরূপ উন্মোচন করে দেখান।

জেরুজালেমে ১৯৩৫ সালে এডওয়ার্ড ওয়াদি সায়িদের জন্ম।আর দশ জন ফিলিস্তিনির মতোই বাস্তুচ্যুত হয়ে মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবার সাথে কায়রোতে এসে একটি এলিট ইংরেজি স্কুলে ভর্তি হন।খৃস্টান ধর্মাবলম্বী সায়িদ ১৯৫১সালে আমেরিকাতে পাড়ি জমান। যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৭ সালে বি.., ১৯৬০এ এম.. পাস করেন । পিএইচ. ডি. করেন হার্ভাডে, ১৯৬৪ সনে। পুস্তক সংখ্যা কুড়িটির উপরে। ‘ওরিয়েন্টালিজম’ ছাড়াও ‘কোশ্চেন অব প্যালেস্টাইন’ (১৯৭৯), ‘কাভারিং ইসলাম’ (১৯৮১), ‘কালচার এন্ড ইম্পেরিয়ালিজম’(১৯৯৩),আত্মজীবনী-‘আউট অব প্লেসঃ এ মেমোয়ার’(১৯৯৯), ‘ফ্রয়েড এন্ড নন্‌ ইউরোপীয়ান’(২০০৩)প্রভৃতি সাড়া জাগানো সৃষ্টিকর্মের তকমা পেয়েছে। ওরিয়েন্টালিজম ৩৬ টিরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয় সত্য, কিন্তু বাকিগুলোও কি কম গেছে!

বৃষ্টি, ভালোবাসা , রূপকথা এবং একজন সপ্রতিভ কিশোরীর গল্প

আমার আকাশ আমি যতো ই হাজার অন্য রংয়ে আঁকি..
আকাশ সে তো নীল ই থেকে যায়…
আমার সাদা কালো শহর, সে তো সাদা কালো ই থাকে..
আমি যতোই রঙিন নিয়ন জ্বালাই..

রাতভর ঝুম বৃষ্টি হয়েছে। ভোরের রাস্তায় সুনসান নীরবতা। ভীষণ স্নিগ্ধ আর পবিত্র লাগছে আজকের সকালটা। আমার গল্পের লেখক, অর্ক রায়হান, তার লেখার একটা চরিত্র চিত্রায়ণ নিয়ে বিরক্ত হয়ে আছেন। কিছুত্রেই ফুঁটিয়ে তুলতে পারছেন না চরিত্রটিকে। রামপুরা বাজার হয়ে মালিবাগ রেলগেট, সেখান থেকে ফ্লাইওভারের পথে হাঁটছেন তিনি। চরিত্রটা বেশ জটিল। একজন হাস্যময়ী কিশোরীর চরিত্র।

লেখকের সাথে তার প্রথম দেখা হয়েছিলো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। কোন এক রোদজ্বলা নিঝ্ঝুম দুপুরে। ধরা যাক মেয়েটির নাম অনন্যা। শহরের নামী এক কলেজ থেকে পাশ করে বেরিয়েছে সম্প্রতি। চোখে রঙিন ভবিষ্যতের স্বপ্ন..। মেয়েটি তখন হাসছিলো নিঃশব্দে। দেখেই লেখকের মনে হয়েছিলো, জোৎস্নার ফুল ঝরে পড়ছে শব্দহীন মুখরতায়। কিছু মুখ থাকে এমন, তারার মতো ঝকঝকে। সহজে মুছে ফেলা যায় না স্মৃতি থেকে। বারবার নানা রঙ আর রূপ নিয়ে ফিরে ফিরে আসে।

অনন্যাও ঠিক তেমনই একজন। অনন্যার খুব ভালো লেগে যায় আমার গল্পের লেখককে। সপ্রতিভ ভঙ্গিতে নিজের ভালোলাগা জানিয়েও দেয় অনন্যা।  সম্পর্কটা সামনে এগিয়ে চলে। খুব ভালো বন্ধুত্ব তৈরী হয় তাদের মধ্যে। লেখক লিখেন। অনন্যা পড়তে শুরু করে। সময়ও কাটতে থাকে তার আপন নিয়মে।

জনাকীর্ণ লোকাল বাস, ফুটপাতের সস্তা তরমুজ এবং একজন নিম্নবিত্তের একটি সকালের গল্প

কবি হাসে টাকা ভাসে গঙ্গা বুড়ির শহরে আসমান তুই কাঁদিস কেন অট্রালিকার পাহাড়ে মিছে হাসি মিছে কান্না পথে পথের আড়ালে গ্রীন সিগনাল রেড ওয়াইন দেয়ালে দেয়ালে এই শহর যাদুর শহর প্রানের শহর ঢাকারে —চিরকুট প্রাণের এই শহরটা বড়ো বেশি দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। যাদুর এই শহরে এখন আর কেউ যাদু দেখায় না। সবাই ব্যস্ত..। সাই সাই