Hafizul Islam

ঝরাপাতার শব্দ….।

প্রকৃতির কত শত অনুষঙ্গ আমদের জানা। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত..সবুজের সৌন্দর্য-সকাল বেলার নতুন সূর্যের রক্তিম আভা, গোধূলী লগ্নের নীরব সমর্পন, নিঝুম রাতে ঝিঁ-ঝিঁ পোকার একটানা ঝিঁ-ঝিঁ ইত্যাদি কত বর্ণনাই না আমরা শুনেছি। কিন্তু, বিবর্ণ হয়ে – হারিয়ে যাবার প্রহর গুনতে থাকা – হলুদ একটা পাতার, ঝরে পড়ার শব্দ কি কেউ কখনো শুনেছো?

একটুকরো শুভ্রতার অপেক্ষা…।

একটু একটু করে জেগে উঠছে আমাদের প্রিয় শহর ঢাকা।রাস্তা-ঘাট সবখানে শুধু ছুটে চলা মানুষের ভিড়।ইট-কাঠ,পাথরের এই শহরের আমিও একজন নাগরিক। অনেকদিন আছি এই যান্ত্রিক নগরিতে।তবুও যেন এখনো ঠিক এই শহরের কেউ হয়ে উঠতে পারিনি। জনতার ভিড়েও কেউ কেউ কত বেশী নির্জন! চারদিকে শুধু গতিশীল সময়ের পথ অতিক্রমের নিদারুণ ব্যস্ততা।নিজেকে বড় অসহায় লাগে। তবুও জীবন চলতে

আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম…..

আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম আমরা আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদি গাইতামহিন্দু বাড়িতে যাত্রা গান হইত নিমন্ত্রণ দিত আমরা যাইতাম জারি গান, বাউল গান আনন্দের তুফান গাইয়া সারি গান নৌকা দৌড়াইতাম বর্ষা যখন হইত, গাজির গান আইত, রংগে ঢংগে গাইত আনন্দ পাইতাম কে হবে মেম্বার, কে

তবুও ভালোবাসি….।

আমার স্বপ্নগুলো কখনোই সাফল্যের সোনালী প্রভাতের দেখা পায়না। তবুও বন্ধুকে ভালোবাসে যাই আশ্লেষে। বৃত্তের বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে, সুন্দর কোন বিকেলে প্রিয়তার হাতে হাত না রেখেও ওকে আমি ভালোবেসে যাব। খুব সুন্দর একটা গান। শুনে নিন সবাই। আর বন্ধুর জন্য বাঁচুন।

প্রতীক্ষা..

নতুন বছর আসে। জীর্ণতা ঝেড়ে ফেলে সামনে পথ চলার বার্তা নিয়ে। উৎসব আর ভালোবাসায় সবাই বরণ করে নেয় নতুনকে। কিন্তু, কি অদ্ভূত! আমার দিনগুলো কেমন আগের মতই বর্ণহীন পড়ে থাকে। শুরু হয় প্রিয়তার জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকা কষ্টনীল আরেকটি বর্ষ। কবে আমি প্রাণখুলে হাসতে পারব,প্রিয়তার হাতে হাত রেখে পরম আনন্দে স্বাগত জানাতে পারব নববর্ষকে, কেউ

সুখ-সন্ধানী এক ক্লান্ত পথিক…।

সুখের সন্ধানে অবিরাম হেঁটে চলা আমি এক ক্লান্ত-পথিক। কখনো কখনো আমার ভালো থাকাকে আমার নিজেরই হিংসে হয়। কিন্তু আমি সুনিশ্চিত জানি, এটা আসলে সুখ নয়। মহাকালের কোন অজানা জগত থেকে ছিটকে পড়া কোন স্বপ্নময় মুহুর্ত। আমার ননীর পুতুলটা আমার অনেক কাছে থাকে। সারাটা সময় ধরে আমায় বেঁচে থাকতে শেখায়। কত কাছে তবু কত দূর! অনতিক্রম্য

বন্ধুর পথে বন্ধু হয়ে………।

বৃষ্টির টাপুর-টুপুর ঝরে পরা দেখছি বারান্দায় বসে। ইট-কাঠের কর্মব্যস্ত এই শহরে, স্বল্প টাকার ছোট্ট একটা পায়রার খোঁপে, বাস করি আকাশছোঁয়া স্বপ্ন বুকে নিয়ে। কত কি ভাবি আপন মনে! শহুরে কোলাহল ছাড়িয়ে বহু দূরের এক গাঁয়ে,একজন মমতাময়ি অধীর অপেক্ষায় থাকেন আমার ফিরে যাবার। সভ্য সমাজের স্বীকৃতি আর জীবনের প্রয়োজনে পড়ে আছি, ভালোবাসাহীন এই শূন্য শহরে। পুকুরের

অনন্ত অন্ধকারে ক্লান্ত কেউ একজন………।

রাত অনেক। তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের নিয়ে জলযান কীর্তনখোলা। হঠাৎ কোথাও বেড়িয়ে পড়ার অনুভূতিটা একেবারেই অন্যরকম। শান্তির খোঁজে অনেক পথ পাড়ি দিয়েছি, এমনি করেই, একেবারে একা। চারদিকে ”অকূল-দরিয়া”। আকাশে জেগে থেকে আমাদের সঙ্গী হয়ে ভেসে চলেছে ভয়ানক একা একটি চাঁদ। রূপালী আলোয় ভিজছে ঘুমন্ত এই পৃথিবী। আমি দাঁড়িয়ে দেখছি। কষ্টনীল একাকীত্ব আমার চারপাশে এসে