এই শহরে এখন আর অতিন্দ্রীলারা থাকে না..
শাখারীবাজারের মোড়েও আর পিপলুদাকে
দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি না…।
হয়তো ওরা ভালো আছে অন্যকোথাও..।
অন্য চেহারা, অন্য নাম আর অন্য মানুষ হয়..
আমাদের ভিড়ে..
অতিন্দ্রীলাকে দেখেছিলাম প্রথম
কলেজিয়েট হাইস্কুলে, কোন এক শরতের সকালে
বিউটির লাচ্ছি, স্টীমারের হুইসেল, ঘোড়ার গাড়ির টুনটুন
সব কিছু মুছে গেয়েছিলে সেদিন..
তারপর থেকে আমি আর অতিন্দ্রীলা
আমরা পথ চলেছি পাশাপাশি
অবশ্যই এই মধ্যবিত্ত আমার রঙজ্বলা কল্পনাতে
প্রাত্যহিকতার নীড়ে..
পিপলুদাকে ভালোবাসতো অতিন্দ্রীলা
কখনো দেখতাম লক্ষীবাজার, কখনোবা আরমানিটোলা
কখনো রাসাবাজার কখনো হুডদেয়া রিকশা..
চলছে অতিন্দ্রীলা হাতে হাত রেখে.. সাথে পিপলুদা..
তবু ভালোবেসেছি অতিন্দ্রীলা, তোমাকে!
এই ব্যস্ত নগরীতে..
মধ্যবিত্তের বায়োস্কোপে আটকে আছে
তোমার সেদিনের প্রাণখোলা হাসি..
অতিন্দ্রীলা!
যেখানেই হোক ভালো আছো তো?
এই কংক্রিট শহরে?
——————————
## ছবি কৃতজ্ঞতা: Unknown