Hafizul Islam

৫০ টাকা মাসিক হাতখরচের দিনগুলোতে মেয়নেজ মাখানো বার্গার

এ্যলিফেন্ট রোডের একটি মোটামুটি মানের ছাত্রাবাসে  তখন আমি। শৈশব পেরিয়ে সবে কৈশোরের দ্বারপ্রান্তে..। লিফট ছাড়া বিল্ডিংয়ের সাত তলায় থাকি। কাছেপিঠে কোন বাড়ি না থাকার সুবাদে চারপাশের অনেকটা জুড়ে দৃষ্টি চলে। নিত্যকার কাজকর্ম-পড়াশোনার ফাঁকে যেটুকু সময় পেতাম, তার অনেকটা অংশ কাটতো , গরাদআঁটা জানালার ভেতর দিয়ে মুক্ত আকাশ আর জাদুর শহর ঢাকার স্কাইলাইন দেখে। বাবার ছোট্ট সরকারী

১০০ কি:মি: রাইড এবং একটি ক্রস কান্ট্রি রাইডের প্রস্তুতি

“হারিয়ে গিয়েছি, এইতো জরুরি খবর অবাক দুই চোখে, ছায়া কাঁপে ভয় অভিমানে হারিয়ে যাওয়ার নিয়ম নেই এখানে হারাবো বলে, পা টিপে এগুতে গেলে গোটা শহর বাতি জ্বেলে সতর্ক পায়ে পায়ে হারাবার জায়গা খুজে মরি গোটা শহর বাতি জ্বেলে সতর্ক পায়ে পায়ে হারাবার জায়গা খুজে মরি…” —–সাহানা বাজপেয়ী # হারানোর ইচ্ছেটা আমাদের ভেতরের কোন গহীন অন্দরে

একজন স্ট্রীট ম্যাজিশিয়ান ও রূপকথার জাদুকরের গল্প

জনারণ্যে খুঁজে ফিরি আপনার স্বজন…পথ-লিপি – ২

”দেহেন ভাই, আমার হাতে কয়ডা কার্ড? তিনডা? আমি দেখতাছি চাইরডা। বাইর কইরা দেহান তো…” এভাবেই ঢাকার নগরকর্তার বাড়ির সামনে, ওসমানী উদ্যানের লাগোয়া ফুটপাথের অনাড়ম্বর আর ধুলোমলিন স্টেজে ম্যাজিক দেখাচ্ছিলেন আমার শৈশবের স্বপ্নের জাদুকর হ্যারি হুডিনী। অবাক হলেন তো? অবাক হবারই কথা। বিশ্বের খ্যাতনামা ম্যাজিশিয়ান হুডিনীর কী প্রয়োজন হলো যে, তিনি রাস্তায় দাঁড়িয়ে শো করবেন!
আমি আসলে গল্প বলছি। ছোট্ট এক কিশোরের গল্প। অশুদ্ধ বাংলায় কথা বলা এক ছোট্ট ম্যাজিশিয়ানের প্রতিদিনকার গল্প। যে জানে না, ম্যাজিক আমাদের সমাজে মনোরঞ্জনের উপকরণ। সে শুধু জানে, অন্তত কয়েকটা ম্যাজিকের সামগ্রী বিক্রি করতে না পারলে তার ছোট্ট বোনটি রাস্তার সস্তা হোটেলেও খেতে পাবে না।
অফিস ফেরৎ আমি দাঁড়ালাম ম্যাজিক দেখবো বলে। একটি শতচ্ছিন্ন ব্যাগে অল্প কিছু পুরোনো ম্যাজিকের উপকরণ, একটা প্লাস্টিকের বস্তা, একটা এনার্জি বাল্ব, মলিন কিছু ছেড়া পোশাক, ছোট্ট এক বোন নিয়েই তার সংসার। মা আছেন কোথাও কাজে। জানতে চাইলাম কী নাম তোমার? নাম দিয়া কাম কী? ট্যাকা দিবেন নাম কইলে? আমি অন্য প্রশ্ন করলাম। তিন কার্ডের খেলাটা কয় টাকা রাখবা? বললো ৫০ টাকা একদাম। বললাম, কার্ডতো পুরোনো হয়ে গেছে। ঝাঁজের সাথে উত্তর দিলো ছেলেটা, নিলে ন্যান, না নিলে রাস্তা মাপেন ভাই। এতো প্যাচালের তো দরকার নাই।

আমি একজন চিন্তাশীল মানুষ

(লেখাটি অন্যরকম গ্রুপের একটি ক্রিয়েটিভ প্রজেক্টের জন্য লেখা। এবং, এই লেখাটি আমাকে প্রজেক্টের শর্টলিষ্টে উঠিয়ে তার সামর্থ্য প্রমাণ করেছিলো। 🙁  পড়াশোনা/পরিক্ষার ক্যাচালে ওয়ার্কশপটা করা হলো না। )

চিন্তা, বিচিন্তা, দুশ্চিন্তা কিংবা বিষম চিন্তা যেটাই হোক সেই ছোটবেলা থেকেই মস্তিষ্কের অন্দরে স্বয়ংক্রিয় হয়ে উঠেছিলো এই বোধটি। প্রতিদিন দুটো করে কুকিজ খেতে দিয়ে যখন মা বলতেন অচিনপুরের কোন এক ঈগল পাখির গল্প, যে আমার জন্য দুটো্ করে কুকিজ রেখে যায়, তখন ভাবতাম কোথায় সেই পাখিটির দেশ? কেমন সে দেশের মানুষ? সেখানের শিশুরা কি দুটো কুকিজ খায় নাকি আরো বেশি? আমার ভাবনার রেলগাড়ি তখন থেকেই চলতে শুরু ।

হোস্টেলে বড়ো হবার সুবাদে নিজের চারপাশে রাশি রাশি বইয়ের স্তুপ নিয়ে বেড়ে উঠেছি।বইয়ের পাতায় পাতায় অসংখ্য মানুষ, অসংখ্য জীবন, ফেলে আসা অসংখ্য অতীত আর চলিষ্ঞু বর্তমানের অজস্র চরিত্রের সাথে হাতে হাত রেখে এগিয়ে গিয়েছে আমার চিন্তারা।রবীন্দ্রনাথের ফটিক থেকে শুরু করে শরৎএর শ্রীকান্ত কিংবা হালের টোকন ঠাকুর সবাই আমাকে ভাবায়। সকালের সূর‌্যটা যখন কুয়াশায় মুখ ঢেকে উঁকি দেয়, তখনও আমি ভাবি।

মেঘ বলেছে..যাবো..যাবো..

আমি আর হাঁটতে পারছি না। সীমাহীন ক্লান্তিতে অবসন্ন হয়ে পড়ছে আমার পদযুগল। কল্পনার সাথে বাস্তবের বৈরীতা- আমার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গে পরিণত হচ্ছে। দিনের পর দিন, আমার স্বপ্নগুলো ডালপালা মেলার আগেই ঝরে পড়ে অবহেলার কষ্টনীল আঙিনায়। আমি বসে থাকি। আমি বসে থাকি আমার মৃত স্বপ্নের শবদেহ কোলে নিয়ে। হাজার বছর ধরে আমায় বসে থাকতে হবে কোন

ভালো থাকতে হবে যে!

”বন্ধু এসো স্বপ্ন আঁকি চারটা দেয়াল জুড়ে বন্ধু এসো আকাশ দেখি পুরোটা চোখ খুলে বন্ধু এসো জলে ভাসি দুখ ভাসানো সুখ” বন্ধু, তুমি খুব করে চাও, যেন আমি ভালো থাকি। কিন্তু বুঝতে পার কি আমার হৃদয়ের না বলা শত কথার অবিশ্রান্ত হাহাকার। তুমি জানো কি, আমার প্রতিটি মুহুর্ত কাটে তোমার মঙ্গল আকাঙ্খায়। তোমার একটু ভালো

স্বপন্ কেনার গল্প, একটি অনর্থক স্ট্যাটাস কিংবা অন্যকিছু…

  আমার স্বপন কিনতে পারে এমন আমীর কই ? আমার জলছবিতে রঙ মিলাবে এমন আবীর কই ? আমি দুখের সিংহাসনে বসে সুখের বিচার করি আমি ভাবের ঘরের অভাবটুকু আখর দিয়ে ভরি আমার পরম বন্ধু হবে এমন অধীর কই আমার জলছবিতে রঙ মিলাবে এমন আবীর কই অসীম ধনে ধনী দরিদ্র কে বলে আমায় জাগরনের ঘুমে আছি