উৎসর্গ ::= আমার অসম্ভব প্রিয়, বড়ো আপিকে। যার জন্য অক্ষম এই আমি, কখনোই কিছু করতে পারি না।
একদিন গভীর রাত…।
নিয়নের হলদেটে আলো..
আধখানা ঘোলাটে চাঁদ..
প্রহরীর সুতীক্ষ্ণ হুইসেল..সুনসান নীরবতা..
গর্জন তুলে কখনো দানবীয় ট্রাকের
দূরের পথে চটজলদি দৌড়ে চলা..।
ইত্যকার প্রাত্যহিক নানান রুটিন..।
তারমাঝে…
একাকী একটি ছেলে
হাঁটছে নগরীর জনশূণ্য রাজপথে।
বৃষ্টি ঝরছে তখন, সব ছাপিয়ে
শুধুই ঝর ঝর ঝর;
জানি না,
সে খুঁজছে কাহারে…।
কার তরে হায়
কাঁদছে শ্রাবণ
এমন আকুল হয়ে..
রুমঝুমাঝুম বাঁজছে নূপুর রাত-প্রেয়সীর পায়ে!
কিসের বেদনায়
কি অসহ্য মর্মযাতনায়
সিন্ধুর বুক জেগে উঠে উত্তাল;
প্রতীক্ষার প্রহর গুনে রাতজাগা নিস্প্রভ দু’টি চোখ..।
কার বিরহ গড়ে তুলেছে
প্রেমের মর্মর সমাধি..দাড়িয়ে আজো অম্লান..
সুপ্রাচীন অন্ধকার গায়ে মেখে ধুঁকছে সে ক্রমাগত!!!
অতৃপ্ত কার আত্মার কাঁপাকাঁপা দীর্ঘশ্বাস
সেখানের বাতাসে
গুমরে ফেরে আজো?
কেনো হয়েছিলো এমন?
অতিদূর অতীতে
ট্রয়ের আকাশ ছেঁয়েছিলো ধ্বংসের ঘনঘটা
চারদিকে কেবলি মৃত্যুর পান্ডুর ছাঁয়াপাত..
ক্ষুধার্ত আগুন, লকলকে নীলচে অথচ রঙহীন শিখাদের
অস্থির পায়চারী..এখানে..সেখানে..
কিংবা, অন্য কোনখানে…..
তারপর….