Hafizul Islam

শত মুখোশের অন্য এক আমি

আমি হারিয়ে গেছি কোথায় এবং কখন জানতে পারি নি সেকথা.. এই কোলাহলের জাদুর শহর আমাকে বদলে দিয়েছে..। আসলেই কি তাই!   মুখোশোর পর মুখোশ জমছে চেহারার পরতে পরতে মুখের খোঁজ কোথায় মিলবে, জানো কি কেহ? সিটি কর্পোরেশনের মূর্দা বহিতে আমার নাম উঠে আছে বহুদিন মোড়ের রঙজ্বলা পোষ্টারসাঁটা ষ্টুডিওতে সেদিন গিয়েছিলাম পাসপোর্ট সাইজ ছবির জন্য ফিরতে

এই শহরে এখন আর অতিন্দ্রীলারা থাকে না

এই শহরে এখন আর অতিন্দ্রীলারা থাকে না..
শাখারীবাজারের মোড়েও আর  পিপলুদাকে
দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি না…।
হয়তো ওরা ভালো আছে অন্যকোথাও..।
অন্য চেহারা, অন্য নাম আর অন্য মানুষ হয়..
আমাদের ভিড়ে..

অতিন্দ্রীলাকে দেখেছিলাম প্রথম
কলেজিয়েট হাইস্কুলে, কোন এক শরতের সকালে
বিউটির লাচ্ছি, স্টীমারের হুইসেল, ঘোড়ার গাড়ির টুনটুন
সব কিছু মুছে গেয়েছিলে সেদিন..

জাদুর শহরে সুপ্রাচীন মানবের জন্য প্রতিক্ষা

সকাল থেকে রাতভোর অবধি তিলোত্তমা এই শহরে
একজন মানুষের খোঁজে পথ হাঁটেন অচেনা দেবদূত..
ঠাসবুনোনের এই নাগরিক কংক্রিট জঞ্জালে
কোন একজন মানুষের দেখা নেই ?

গ্রীক পুরাণের দেবতা জিউস কিংবা রামায়ণের কোন সন্ন্যাসীর
অভিশাপে পাথর হয়ে গেছে এই শহরের মানুষেরা?
নাকি, হ্যামিলিয়নের সেই হারানো বাশীওয়ালা
আবার এসেছে নেমে এই যাদুর শহরে..?

“নগরীর বাতাসে এখন ঘাম আর মেকাপের গন্ধ।
সাথে আছে, যানজটে বসে থেকে হেলপারের হাঁকডাক:
এই, শাবাগ, গুলিস্তা, ফারামগেট, মতেঝিল।
ড্রাইভার গুলো যেন একেকজন মিউজিক কম্পোজার!”

নাগরিক মেঘপিয়ন এবং তাহাদের ফটোগ্রাফ

শ্রাবণের আকাশ নাকি বিক্রি হয়ে গেছে!
জানিয়ে গেলো নাগরিক মেঘপিয়ন
বর্ষামঙ্গলের চিরকূট পাঠিয়েছিলাম তোমায়
পেয়েছো কি অবন্তিকা?

পলাশী-নীলখেত কিংবা ছবিরহাটের ফুটপাথে জমে উঠা জলে
কাগজের নৌকা ভাসানোর নিমন্ত্রণ তোমায়
আসবে কি বালিকা?

মেঘদল পথ হারিয়েছে এই নাগরিক বর্ষায়
আকাশ আজকাল কোথায় থাকছে
জানো কি তুমি?

দ্যা ফ্লাইং ডাচম্যান, সমুদ্রের রহস্যময় জাহাজ

দ্যা ফ্লাইং ডাচম্যান (The Flying Dutchman) । পৃথিবীর সামুদ্রিক ইতিহাসের এক বিখ্যাত জাহাজের নাম। হাজার হাজার মাইল বিস্তৃত সাগরের পরিধি যেমন সীমাহীন। তেমনই সীমাহীন এর স্রোত আর ঢেউয়ের পরতে পরতে আটকে থাকা রহস্যের খতিয়ান ।  ফ্লাইং ডাচম্যান হচ্ছে সমুদ্রের এক অজানা রহস্যের নাম, কিংবদন্তির এক ভূতুড়ে জাহাজ। কখনো কোন বন্দরে নোঙ্গর ফেলে না এই জাহাজ। শুধু উত্তাল সমুদ্রেই দেখা মেলে পালতোলা এই সামুদ্রিক জলযানের।

 ভুতূড়ে জাহাজ নিয়ে যত লোককাহিনী প্রচলিত আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ফ্লাইং ডাচম্যান। এই লোককাহিনীটির উৎপত্তি মূলত ১৭-শতকের সামুদ্রিক লোকাচারবিদ্যা থেকে। প্রাচীন নথিপত্রে এই জাহাজটিকে ১৮-শতকের শেষের দিকের জাহাজ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ব্লগ কিংবা অনলাইন ডায়েরীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

ডায়েরী বা দিনপঞ্জিকা লেখার অভ্যাস বরাবরই অন্যতম সুন্দর অভ্যাস।সাগর পাড়ি দেয়া নাবিক কিংবা নীল দিগন্তে ভেসে বেড়ানো বৈমানিকরা সেই আদ্যিকাল থেকেই লগবই লিখতেন। তাতে লিখতেন তাদের দৈনন্দিন পথযাত্রার খবরাখবর। সাথে থাকতো নিজেদের একাকীত্ব কিংবা ভাবনার কথা। সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন এসেছে সবকিছুতেই। ডায়েরী লেখার কাজ এখন অনেকেই অনলাইনেই সেরে ফেলেন। এই অনলাইনে নিয়মিত লেখার রেওয়াজকেই বলা হচ্ছে ব্লগ লেখা। এই লেখাটিতে ব্লগের আদ্যোপান্ত সংক্ষেপে লিখতে চেষ্টা করলাম।

প্রারম্ভিকা
ব্লগ শব্দটি ইংরেজ Blog এর বাংলা প্রতিশব্দ, যা এক ধরণের অনলাইন ব্যক্তিগত দিনলিপি বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক পত্রিকা। ইংরেজি Blog শব্দটি আবার Weblog এর সংক্ষিপ্ত রূপ। যিনি ব্লগে পোস্ট করেন তাকে ব্লগার বলা হয়। ব্লগাররা প্রতিনিয়ত তাদের ওয়েবসাইটে কনটেন্ট যুক্ত করেন আর ব্যবহারকারীরা সেখানে তাদের মন্তব্য করতে পারেন।
এছাড়াও সাম্প্রতিক কালে ব্লগ ফ্রিলান্স সাংবাদিকতার একটা মাধ্যম হয়ে উঠছে। সাম্প্রতিক ঘটনাসমূহ নিয়ে এক বা একাধিক ব্লগার রা এটি নিয়মিত আপডেট করেন।

(Hangzhou হানযৌ) বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রান্স-ওশেনিক ব্রীজ; স্থাপত্যকলার অবাক নির্মাণ

আমরা এখন বাস করছি গতিশীল এক পৃথিবীতে। পৃথিবী সবসময়ই গতিশীল ছিলো। সময়ের ধাবমান গতিবেগ প্রকৃতিগত নিয়মেই ছাপ ফেলেছে পৃথিবীর পরিবেশ প্রকৃতিতে। একসময় মানুষের টিকে থাকা নির্ভর করতো, তার সাহস, হিংস্রতা, দুর্যোগ সহনের ক্ষমতার উপর নির্ভর করে। এখন সময় পাল্টেছে। প্রকৃতির সাথে সহাবস্থানের সাথে সাথে মানুষ দ্রুত শিখে নিচ্ছে প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণের বিদ্যা। অসম্ভব সব কাজ করছে মানুষ প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে। তেমনই একটি নিদর্শন নিয়ে আজকের এই লেখা। চীনের হানযৌ ( ইংলিশে Hangzhou। সঠিক উচ্চারনের জন্য ক্লিক করুন) ব্রীজ। সভ্যতার এক অপার বিষ্ময়। বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রান্স-ওশেনিক ব্রীজ। সাগরের অলঙ্ঘনীয় বাঁধাকে ডিঙিয়ে চীনের দুটি প্রদেশকে সংযুক্ত করেছে এই ব্রীজ। এর নির্মাণ ছিলো দীর্ঘ দশ বছরের নিরবচ্ছিন্ন পরিকল্পনার ফসল

মোনাজাত উদ্দীন, একজন কিংবদন্তির সাংবাদিক

মোনাজাত উদ্দিন, বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জগতের একটি স্মরণীয় নাম। শুধু সাংবাদিক নন তিনি নিজেই হয়ে উঠেছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান।  তিনি ছিলেন তৃণমূল মানুষের সংবাদ কর্মী, ছিলেন জনগণের সাংবাদিক । খবরের অন্তরালে যে সব খবর লুকিয়ে থাকে তিনি ছিলেন সেই সব তথ্যানুসন্ধানের নেপথ্যের মানুষ। রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে তিনি নতুন মাত্রা যোগ করেছিলেন দেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে।

[themeum_button size=”lg” type=”success” url=”http://www.mediafire.com/download/449t3ei37ta2arg/monajatuddin_rachanasamagra_01.pdf”  text=”মোনাজাত উদ্দিন রচনাসমগ্র – ১ম খন্ড । ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন”]

গ্রামে গঞ্জে, পথ থেকে পথে ঘুরে ঘুরে এই তথ্যানুসন্ধানী সংবাদকর্মী তাঁর সাংবাদিক জীবনে নানা মাত্রিকতার রিপোর্ট করেছেন। পাশাপাশি লিখেছেন জীবনের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ নানা ঘটনা। তিনি তাঁর কর্মের মাধ্যমেই অমর হয়ে থাকবেন আমাদের হৃদয়ের মণিকোঠায়।

রংপুরের কৃতি সন্তান, রংপুরে গর্ব চারণ সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিনের নাম স্মরণীয় হয়ে থাকবে রংপুরের প্রথম দৈনিক পত্রিকা ‘দৈনিক রংপুর’ এর প্রকাশক ও সম্পাদক হিসেবে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের মার্চে স্বাধীন চিন্তা, বিশ্বাস আর আদর্শের ভিত্তিতে প্রকাশ করেন ‘দৈনিক রংপুর’। শুধুমাত্র স্থানীয় সংবাদের ভিত্তিতে তিনি এই পত্রিকাটি বের করার চিন্তা করেন। ‘দৈনিক রংপুর’ ছিল মিনি সাইজের পত্রিকা, দাম মাত্র পাঁচ পয়সা। মোনাজাত উদ্দিন ছিলেন এর সম্পাদক-প্রকাশক। পত্রিকাটি প্রকাশের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করতেন একজন স্থানীয় ব্যবসায়ী। বাহ্যিকভাবে সেই ব্যবসায়ী সৎ মনে হলেও, প্রকৃতপক্ষে তিনি ছিলেন একজন অসৎ ব্যবসায়ী। যে কারণে তাঁর সঙ্গে মোনাজাত উদ্দিনের সম্পর্কের ইতি ঘটে। অবধারিতভাবেই এই পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু লেখালেখির সাথে তাঁর বিচ্ছেদ ঘটেনি মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত।